যৌনপল্লিতে সচেতনা অভিযান দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক ও মেয়র সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের
নিউজ ডেস্ক: করোনো ভাইরাসকে রুখতে একমাত্র দাওয়াই হল ভ্যাকসিন। অথচ এই ভ্যাকসিন নিয়েই মানব শরীরে তৈরি হচ্ছে চুম্বকশক্তি এমনই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তারই প্রতিফলন দেখা গেল দুর্গাপুরের কাদা রোড এলাকা সংলগ্ন যৌনপল্লিতে। এলাকায় প্রায় ৮০০ জন যৌনকর্মী থাকলেও প্রথম দফায় ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় প্রায় ৯০ জন ভ্যাকসিন নেয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুপার স্প্রেডারদের তালিকায় থাকা এই যৌনপল্লির এমন চিত্র প্রশাসনের নজরে আসতেই তৎপরতা শুরু করে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন ও নগর নিগম। আতঙ্ক কাটাতে আজ কাদারোড় সংলগ্ন যৌনপল্লীতে সশরীরে উপস্থিত হলেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শেখর চৌধুরী,এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র দিলীপ অগাস্থি, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল ও সহকারী সুপার সহ পুলিশের আধিকারিকরা।
মহকুমা শাসক ও মেয়রে যৌনকর্মীদের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও উপকারিতা বোঝাতে সফল হলে অধিকাংশ যৌনকর্মী স্থানীয় দুর্বার সমিতির কার্যালয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ায়।
যৌনকর্মীরা জানান, ব্যবসার ক্ষতির পাশাপাশি ভয় ও আতঙ্কে এই ভ্যাকসিন নিতে অনীহা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু মহকুমা শাসক,মেয়র সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা ভ্যাকসিনের গুরুত্ব বোঝানোর পর সেই অনীহা কেটে গেছে।