কোথাও তিনি জগতের নাথ কোথাও বা বিষ্ণু অবতার, অপার মহিমা নিয়ে তিনিই জগন্নাথ
নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা হলেও পূজা পদ্ধতি একটু আলাদা তার, কারোর কাছে তিনি ভগবান বুদ্ধের রুপ কারোর কাছে আবার কারোর কাছে ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার।
ভারতের সমুদ্র রাজ্য ওড়িশার পুরী ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বিহার, পশ্চিম বঙ্গের নানান স্থানে পূজিত হন তিনি। তবে শুধু পূজা পদ্ধতি নয় আকার আকৃতি ও বেশ বিচিত্র, কালো কাঠের তৈরি মূর্তি, আকর্ণবিস্তৃত চোখ, আর হস্ত বিহীন জগন্নাথ, বলরাম ও তাদের ভগ্নী সুভদ্রা।
কথিত আছে সমুদ্রে ভেসে আসা একপ্রকার কাষ্ঠখন্ড দিয়ে তৈরি করা হয় এই মূর্তি। জ্যৈষ্ঠ মাসের স্নান যাত্রা শুরু হয়, ১০৮ ঘরার জলে মহস্নান সারেন ভগবান। এর পর ধুম জ্বরে ভোগেন জগন্নাথ দেব। এই সময় বিশেষ মলমলাগি সেবা চলে। মন্দিরের ভক্তগণের নিরলস সেবা শুশ্রূষার দ্বারা সুস্থ হয়ে ওঠেন জগন্নাথ।
শুরু হয় প্রস্তুতি রথযাত্রার মহোৎসবের। রথযাত্রার সকালে অর্থাৎ আষাঢ় মাসের শুক্লা তিথিতে সুসজ্জিত রথে চড়ে ঠাকুর গুন্ডিচার বাড়িতে রওনা দেন, উদ্দেশ্য সাতদিন মাসির বাড়ী বেড়ানো। উদযাপিত হয় সোজা রথ আবার সাত দিন পর ফিরে আসেন নিজ গৃহে, পালিত হয় উল্টরথ। আলাদা আলাদা তিনটি রথ সাজানো হয় এই দিন, জগন্নাথের রথ নন্দঘোষ, লাল হলুদ কাপড়ে মোরা থাকে ১৮ চাকা বিশিষ্ট এই রথ। বলরামের রথ তালোদ্বজ আর সুভদ্রার রথ দর্পদলন।রথের পবিত্র রশি টানতে উপস্থিত হন লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী।
ভোগের আয়োজন থাকে এলাহী, ১০০০ রকমের পদ , ৫৬ রকমের বিশেষ পদ, মিষ্টি দই, ফল নানান রকমারি খাদ্য। একটি বিশেষ পদ্ধতিতে ৭ টি মাটির হারি পরপর উনুনে বসিয়ে রান্না করা হয়। মহা প্রসাদ গ্রহণ করেন ভক্তরা।
বিগত ২ বছর ধরে করোনা মহামারীতে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি সর্বত্রই। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে পালিত হবে অনাড়ম্বর পূজার্চনা। মন্দিরের সেবয়েতরাই থাকবেন দায়িত্বে। ভার্চুয়ালি সমগ্র অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে সংবাদ মাধ্যমের তত্ত্বাবধানে।
একই নিয়ম কার্যকরী থাকবে মায়াপুর ইসকন মন্দির, মহিসদল, মাহেশর রথ, নদিয়ার শান্তিপুর রথযাত্রার ক্ষেত্রে। মানুষ অপেক্ষায় কবে স্বাভাবিক হবে সব সরাসরি দর্শন মিলবে জগৎ নাথের।