সজল ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
নিউজ ডেস্ক: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের কাছে ক্লাব ভাঙচুর ঘিরে ধুন্ধুমার। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করেছে, এমনটাই অভিযোগ বিজেপি নেতা সজল ঘোষের। এই ক্লাবের সঙ্গে যুক্তরা ইভটিজিংয়ের সঙ্গে যুক্ত, পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল। একটি দোকান ভাঙচুরেও অভিযুক্ত ক্লাব সদস্যেরা, পাল্টা তৃণমূল। ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। দরজা ভেঙে পুলিশ আধিকারিকরা সজল ঘোষের বাড়ির ভিতরে ঢোকে। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় মুচিপাড়া থানা। এপ্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘শুধু বিরোধী দল নয়, কেউ মহিলার হাত ধরে টানবে, শ্লীলতাহানি করবে, পুলিশ কি তাকে দুধ খাওয়াতে যাবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনে মানুষের ওপর অত্যাচার করলে দল নির্বিশেষে সাজা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনে নারীর ওপরে অত্যাচার হলে সাজা হবে। আইন আইনের পথে চলবে। আমি যদি অন্যায় করি, আমাকেও গ্রেফতার করবে।’
এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা কোনও একটা ইস্যু নিয়ে বিজেপির লোকেদের ওপর অত্যাচার করা, কেস দেওয়া, ভয় দেখানো। ক্লাবে কে ইভটিজিং করেছে, তার জন্য প্রতিষ্ঠিত এক রাজনৈতিক নেতার বাড়ি ভেঙে ঢুকে গ্রেফতার করা হল? আসামি নাকি? কোথায় আইনকানুন আছে? এরা আবার দিল্লি যাচ্ছে গণতন্ত্র খুঁজতে? লজ্জা করা উচিত। পুলিশ তৃণমূল ক্যাডারদের মতো কাজ করছে, না হলে আজকের এই ব্যবহারটা করতে পারত না।”