জেলা তৃণমূলে রদবদলের পরই ক্ষোভের সঞ্চার
নিউজ ডেস্ক: গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক পদে রদবদল এর পর থেকে হুগলি জেলার নিচু তলার তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তৃণমূলের অধিকাংশ কর্মী দের বক্তব্য, গতকাল যেভাবে দিলীপ যাদবকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে তারা হতাশ। তাদের বক্তব্য যখন লোকসভা নির্বাচনের পর এই জেলায় অনেক কর্মীরা মনবল হারিয়ে ফেলেছিল সেই সময় জেলায় কর্মীদের মনবল চাঙ্গা করে সংগঠন তৈরি করেছিল।এরপর বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছিল ফলে হতাশা দেখা দিয়েছিল সাধারণ কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপ যাদবের নেতৃত্বে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস দুর্দান্ত ফল করেছে। ১৮ টি আসনের মধ্যে ১৪ টি আসন তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে এর পেছনে তৃণমূল সভাপতি হিসাবে দিলীপ যাদবের অবদান অনস্বীকার্য যদিও দীলিপবাবু পুড়শুড়া কেন্দ্রে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হেরে গেলেও এ রাজ্যের যে ৭৩ টি কেন্দ্রে তৃণমূল কর্মীরা পরাজিত হয়েছে তাদের মধ্যে হেরে যাওয়ার পর পরাজিত পার্থীরা কতবার সেই কেন্দ্রে গেছেন তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন আছে।কিন্তু হিসাব করলে দেখা যাবে পুরসুরায় হেরে যাওয়ার পরও দিলীপ যাদব বারবার ছুটে গেছেন। যেকোনো মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন কর্মীদের প্রশ্ন এক ব্যক্তি এক পদ যদি হয় তবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমাদের জেলা তে তো বেশ কয়েক জন বিধায়ক তারা বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও সাংগঠনিক পদে রয়েছেন। অথচ এবারের নির্বাচনে দিলীপ যাদব যেভাবে দল পরিচালনা করেছেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার পর তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে আবার এই জেলায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারপরও দলের ওপর তলার নেতারা যেভাবে একজন যোগ্য কাজের লোককে সরিয়ে দিল তাতে কিন্তু সংগঠনের প্রভাব কিন্তু পড়বে। গত ১৫ দিন আগে এই জেলার আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন অংশ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। যখন মানুষ অসহায় অবস্থায় ছিল সেই সময়ে দীলিপবাবু দিনরাত এক করে তাদের পাশে ছিলেন কর্মীদের বক্তব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক অথবা রাজনৈতিক কর্মীদের হৃদয় ভেঙে গেছে। যদিও আমরা তৃনমূল করি দলের নির্দেশ তা আমাদের মানতে হবে তা সত্বেও বলতে হবে কাজের লোককে যোগ্য সম্মান দেয়া হলো না। তবে হুগলি জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল যে দলের কর্মীরা ভালোভাবে নিচ্ছেনা তা তৃণমূল দলের কর্মীদের কথায় স্পষ্ট।