গ্রাম বাংলার বনেদি বাড়ির দুর্গা পুজো
নিউজ ডেস্ক: বনগাঁর ছয়ঘড়িয়ার প্রাচীন পুজো হল প্রখ্যাত ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামা বাড়ির পুজো। পুজোর সূচনা করেন গৌড়হরি ব্যানার্জি। এখানে প্রতিমা দুহাতে অসুর বধ করছেন। বাকি হাতগুলো ছোট ছোট। তাই প্রতিমা এখানে বিড়ালহাতি দুর্গা নামেই জনপ্রিয়। অবিভক্ত বাংলার যশোর জেলার ছয়ঘড়িয়ায় শুরু হয় পুজো।
আমাদপুরের চৌধুরী বাড়ির পুজোর বয়স প্রায় সাড়ে তিনশো বছর। পুজোর সূচনা করেন অনাদিরাম সেন। ওরঙ্গজেবের আমলে মুর্শিদাবাদে জমিদারি পেয়েছিলেন অনাদিরাম সেন। বর্গি হামলায় মুর্শিদাবাদ থেকে চৌধুরী পরিবার চলে আসেন বর্ধমানের আমাদপুর গ্রামে। পুজোর পনেরো দিন আগে থেকেই বোধনের চন্ডীপাঠ শুরু হয় এ বাড়িতে। পুজোর আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হয় চাল-ডাল। সেই চাল ও ডাল বেটে আল্পনা দেওয়া হয় মন্দির প্রাঙ্গনে।
কোলসাড়া ঘোষাল বাড়ির পুজোর বয়সও প্রায় চারশো ছুইছুই। ঘোষাল পরিবারের এগারো তম বংশধর দিগম্বর ঘোষাল ছিলেন সম্রাট শেরশাহের বিশ্বস্ত কর্মচারি। কথিত আছে স্বপ্নাদেশেই ঘোষাল পরিবারে শুরু হয় দুর্গাপুজো। একচালার প্রতিমাতে শুরু হয় মুর্তি গড়ার কাজ। নদিন ধরে চলে দুর্গাপুজো। দশমীতে কুমারী পুজোর প্রচলন আছে ঘোষাল বাড়িতে। প্রতিপদ থেকে ভোগ অন্ন তৈরি করা হয়।