চাকরির প্রার্থীদের দুয়ারে এবার নিয়োগ পত্র
নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ এসেছিল আগেই, কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর করতে ঢিলেমি দিচ্ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর তাই এদিন একেবারে আদালতের নির্দেশ আর তা অবমাননার নোটিস নিয়ে এসএসসির দুয়ারে হাজির হলেন মামলাকারীদের আইনজীবী। আর ঢিলেমি নয়, সঙ্গে সঙ্গেই চাকরিপ্রার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে গেল নিয়োগপত্র। ২০১৬ সালে নবম দশম শ্রেণির ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের জন্য রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৬০০০ শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বছরেই হয় পরীক্ষা। পরীক্ষার পর যে উত্তরপত্র প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, অভিযোগ, তাতে একটি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল। কিন্তু সেই ভুল উত্তরের কথা প্রথমে স্বীকার করেনি এসএসসি কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে এসএসসির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনিতা বিশ্বাস, ধিরাজ সরকার-সহ ৫ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী বইপত্র ঘেঁটে নানাভাবে আদালতের দরবারে প্রমাণ করেন এসএসসির উত্তরপত্রে ওই প্রশ্নের উত্তর সত্যিই ভুল ছিল। এরপরই এসএসসিকে আদালত নির্দেশ দেয় ওই নির্দিষ্ট প্রশ্নের বরাদ্দ নম্বর সকলকে দিয়ে দিতে হবে। শুধু তাই নয়ু, এর ফলে যে নম্বর বাড়বে তাতে যদি কারও চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকে তাও দিতে হবে বলে জানিয়েছিল উচ্চ আদালত। কিন্তু আদালতের এই নির্দেশের পর চার মাস কেটে গেছে, তবু কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপর মামলাকারীদের আইনজীবী এদিন এসএসসির দরবারে আদালত অবমাননার নোটিস নিয়ে হাজির হন। তখনই তাঁকে নিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হয়।