দরজায় উপনির্বাচন – প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি
নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। এর পর পুজো মিটলেই খড়দহ, দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবায় উপনির্বাচন। জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে ঘাসফুল শিবিরে। আর এখানেও যুদ্ধ শুরুর আগে দু’পা পিছিয়েই গেল বিজেপি। এখনও স্থির হল না পদ্মশিবিরের প্রার্থী।
রবিবার ভবানীপুর জয়ের পরে পরেই তৃণমূল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সোমবার সকালেও চার আসনের প্রার্থীদের নাম ঠিক করে উঠতে পারেনি বিজেপি। আসলে বাকি দুই কেন্দ্র নিয়ে অত চিন্তা না থাকলেও বিজেপি শান্তিপুর ও দিনহাটায় প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই আসনে দল জয় পাওয়ায় উপনির্বাচনেও লড়াই হবে বলে মনে করছে বিজেপি। দলের হিসাব মতো একটি আসনে জয় নিশ্চিত। তবে লক্ষ্য হবে দুটির জন্যই। কিন্তু জয়ের পর সেই বিধায়করা মুকুল রায়ের মতো তৃণমূল শিবিরে চলে যাবে না তো! এই চিন্তা থেকেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এমন প্রার্থী বাছতে চাইছেন, যাঁরা দলের প্রতি একান্ত অনুগত। যারা দলকে সুদৃড় হাতে ধরে রাখবে।
বিধানসভার ফল ঘোষণার এক মাস কাটতে না কাটতেই দল ত্যাগ করেন মুকুল রায়। মুকুলের পরে পরেই বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী। পাঁচ মাসে পাঁচ জন। এবার ভবানীপুর-সহ ৩ কেন্দ্রে হারের পর এই প্রবণতা এখনও চলবে বলেই শঙ্কা বিজেপি শিবিরে। কমপক্ষে ছ’জন বিধায়ক রয়েছেন দলের আতশকাচের তলায়। এমন পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে চিন্তা গেরুয়া শিবিরে।
অন্যদিকে তৃণমূল শিবিরে এখন খুশির মেজাজ। একে তো এমন ফলাফল অন্যদিকে ৪ কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীও নির্বাচিত হয়ে গিয়েছে। আশা করাই যাচ্ছে এখানেও ফলাফল ভালোই হবে। তাই নতুন যুদ্ধের আগে বেশ কিছুটা এগিয়েই আছে তৃণমূল শিবির।