উদ্ধার হলো ভাগীরথী নদীর জলে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া যুবকের মৃতদেহ
নিউজ ডেস্কঃ অবশেষে উদ্ধার হলো ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যুবক। শনিবার সকালে নবদ্বীপ থানার ফরাজডাঙ্গা বালুরচর রেল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এক যুবকের মৃতদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে নবদ্বীপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া মৃত যুবকের নাম শ্যামল ঘোষ বয়স আনুমানিক ছত্রিশ বছর। বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার বিধানপল্লি ঘোষ পাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, গত ১৩ ই ডিসেম্বর রাত এগারোটা নাগাদ স্বরুপগঞ্জ খেয়া ঘাট থেকে নবদ্বীপ ঘাটে আসার পথে নৌকা থেকে মাঝ নদীতে জলে ঝাঁপ দেয় ওই যুবক। এরপর নবদ্বীপ থানার পুলিশ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যরা যৌথভাবে তাঁর খোঁজে ভাগীরথী নদী বক্ষে তল্লাশি চালিয়েও কোন কিনারা করতে পারেনি। এর পাঁচ দিন পর শনিবার সকালে ফরাজডাঙ্গা বালুরচর এলাকা থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপার্জন করার বিষয়ে বরাবর উদাসীন ছিল শ্যামল ঘোষ, কাজকর্ম না করার কারণে দাদা ও ভাইদের সাথে মাঝে মধ্যেই সাংসারিক অশান্তি লেগে থাকত। মৃত যুবকের দাদা সুমন ঘোষ জানান, দুর্গা পুজোর আগে শ্যামলের সঙ্গে কাজকর্ম করার বিষয়ে বিবাদ হয়, তাকে বকাঝকা করলে, সে নিজের অ্যাপাচি বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর বর্ধমানের কোন এক ব্যক্তির কাছে সে শ্যামল তার বাইকটি বিক্রি করে দেয়। পাশাপাশি সেই মুহূর্তে লটারি কেটে নয় লক্ষ টাকা পুরস্কার পায় শ্যামল। লটারিতে পাওয়া আর্থিক পুরস্কার ও বাইক বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতে পাওয়ার পর সেই টাকা দিয়ে কৃষ্ণনগর ও নবদ্বীপ মায়াপুরে এসে প্রায় দু মাস অতিবাহিত করে। এরপর সম্ভবত হাতের টাকা ফুরিয়ে গেলে মানসিক অবসাদে ভাগীরথী নদীর জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শ্যামল ঘোষ বলেই পরিবারের অনুমান। পুলিশ শ্যামল ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।