প্রাতঃভ্রমণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি দিলীপ ঘোষ
নিউজ ডেস্ক: কলকাতার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রাত ভ্রমনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দীলিপ ঘোষ বলেন, সরকার তো তার মতো করে সবকিছু করবে। ইকোনোমিকে বাঁচাতে গিয়ে ওখান থেকে যদি বেশি সংক্রমন হয় তাহলে চিন্তার ব্যাপার। এখন এক সপ্তাহ অবজারভেশন থাকবে পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে। বড়দিন বা নববর্ষকে কেন্দ্র করে যে ভিড় হয়েছে সব জায়গায় এটা একটা ভয়ের কারন কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সঠিক জানেন কি করা উচিত। করোনা আবহে আসন্ন পুরভোট করা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,যখন বিধানসভা নির্বাচন চলছিল তখন পশ্চিমবঙ্গে কোভিড বাড়েনি। মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে কোভিড বেড়েছিল আর এখানে নির্বাচন হচ্ছিল। তখন চেঁচামেচি হচ্ছিল ভোট বন্ধ করে দাও। তখন টিএমসি ভাবছিল হেরে তারা যাবো। যখন ২০%-৩০% বুথে ভোট তখন এখানকার সরকার একসঙ্গে করতে পারছে না। কারন ভোটটা লুট হবে তাই একটা একটা পৌরসভায় ভোট করছে। ১০-১৫ দিনে যদি আরো কোভিড বাড়ে তাহলে আদেও ভোট সম্ভব কিনা জানিনা। আর যে ১১৫ টা পুরসভা বাকি আছে সেগুলো জলের মধ্যে পড়ে যাবে। আমরা চেয়েছিলাম সমস্ত নির্বাচন একসঙ্গে হোক। কিন্তু রাজনৈতিক লাভ নেওয়া হচ্ছে। যদি পরিস্থিতি এরকম হয় তাহলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ত্রিপুরায় মন্দিরে পুজো দেওয়া ও কর্মীর বাড়িতে খাওয়া দাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওরা বিজেপিকে ফলো করছে। মন্দিরে যাওয়ার পরম্পরা বিজেপির।এতদিন মসজিদে গিয়ে কাজ হচ্ছিল না তাই এখন মন্দিরে যাওয়া শুরু করেছে। ওরা বরাবরই বিজেপিকে ফলো করে , এখনো তাই করেছে। কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া আমরা শুরু করেছি ওরাও তাই করেছে। ভারতীয় পরম্পরা আছে অতিথিকে স্বাগত করা। সেটা যেন রাজনৈতিক কাজের জন্য ব্যবহার না করা হয়। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সরকারের হাতে নাই। যতক্ষন না বিশেষজ্ঞরা ঠিক করবেন ততক্ষন পর্যন্ত বাচ্চাদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। এটা সেনসেটিভ ম্যাটার।