পিছিয়ে গেল রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট
নিউজ ডেস্ক:পিছিয়ে গেল রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করার ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোট পিছনো নিয়ে রাজ্যের অনুরোধের পর শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানাল কমিশন। এর আগে ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং আসানসোল কর্পোরেশনে ভোট ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন । ২৫ জানুয়ারি ছিল ফল ঘোষণার দিন। কমিশন সূত্রে খবর, নতুন করে মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে না। এতদিন যে আদর্শ আচরণবিধি জারি ছিল, তা চলবে।যা যা কোভিডবিধি ছিল, তাও জারি থাকবে। কমিশন আরও বলেছে, আদালতকে সম্মান জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন করে প্রচার নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রচার নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত বিধিনিষেধই বজায় থাকবে। নিয়ম মেনে প্রচার করা যাবে। ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে বলেও কমিশনের সচিব জানিয়েছেন।
কয়েক দিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বর্তমান কোভিড আবহে যে কোনও ধরনের ভোট পিছিয়ে দেওয়া উচিত। তবে এটি তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।এরপর নবান্নের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, কমিশন ভোট পিছিয়ে দিলে কোনও আপত্তি নেই সরকারের। শনিবার নবান্নের চিঠি পাওয়ার পরে ভোট পিছনোয় শিলমোহর দিল নির্বাচন কমিশন।
পুরভোট পিছনোর দাবি নিয়ে একাধিক মামলার পর্যালোচনার পর শুক্রবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায়ে বলে,“আমাদের মতামত হল রাজ্যের বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং নির্বাচন হতে যাওয়া চার পুরনিগমের কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ” আদালতের নির্দেশ, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে তা জনস্বার্থের পক্ষে হিতকর হবে নাকি তা খতিয়ে দেখতে হবে। এবং নির্বাচন চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনা করে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। রাজ্যের সবুজ সংকেত মিলতেই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।