টুইটারে প্রায় সবসময় সক্রিয় থাকতেন লতা
নিউজ ডেস্ক:ট্যুইটারে প্রায় সময় সক্রিয় থাকতেন লতা।জীবনের শেষ পোস্ট মন ছুঁয়ে যাবেভারতের কোকিলকণ্ঠী লতা মঙ্গেশকরের প্রথম নাম ছিল হেমা। পরবর্তীকালে সেই নাম পরিবর্তন হয় লতা। লতা নামের পিছনে রয়েছে ছোট্ট একটি গল্প। শুধু গান নয়, তিনি অভিনয়ও করতেন। মাত্র ১৩বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে ছিলেন, কিন্তু ৫ বছর বয়স থেকেই অভিনয় ও গানের তালিম নেওয়া শুরু করেন বাবার কাছে। তাঁর বাবা একজন বিখ্যাত শিল্পী মানুষ ছিলেন।
তিনিই আয়োজন করেছিলেন ‘ভাব বন্ধন’ নামক একটি নাটক। নাটকে লতিকা বলে চরিত্র ছিল, যেখানে অভিনয় করেন লতা মঙ্গেশকর। সেখান এখান থেকেই হেমার পরিবর্তে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হতে শুরু করেন লতা নামে।লতা মঙ্গেশকর ট্যুইটারে প্রায় সময় সক্রিয় থাকতেন। নিত্য গুরুত্বপূর্ণ নানান খবর তিনি সর্বদা পোস্ট করতেন। ২০২২ সালেও বেশ কয়েকবার তিনি ট্যুইট করেছেন। তবে তাঁর জীবনের শেষ পোস্ট ছিল সিন্ধুতাই সাপকালকে নিয়ে । যিনি অনাথ শিশুদের জন্য সর্বতোভাবে কাজ করেছেন। সিন্ধুতাই মহারাষ্ট্রের মাদার টেরেসা নামেও পরিচিত। নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখে সিন্ধুতাই সাপকাল প্রয়াত হন এবং তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লতা মঙ্গেশকর ট্যুইট করেছিলেন। সুরসম্রাজ্ঞী জানিয়েছিলেন , এই মৃত্যুর খবরে তিনি গভীরভাবে শোকাহত এবং এই মৃত্যুতে সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।এছাড়াও তিনি জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখে আর ডি বর্মনের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছিলেন। পোস্ট করে লিখেছিলেন ‘আজ আমাদের প্রিয় পঞ্চমের মৃত্যুবার্ষিকী. তার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই’।
২০২২সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করে তা উত্সর্গ করেছিলেন তাঁর পিতা পণ্ডিত দিননাথ মঙ্গেশকরকে। এই ভিডিওতে সুর সম্রাজ্ঞী বলেছিলেন, এত বড় পৃথিবীতে শ্রদ্ধেয় বাবা তাঁকে একা রেখে গিয়েছেন, কিন্তু জীবনের সব সময় তিনি বাবাকে খুঁজে পান। তিনি অনুভব করতে পারেন, বাবা তাঁর পাশে বসে গান শেখাচ্ছেন। যখন তিনি কিছুতে ভয় পায় তখন তাঁর বাবা মাথায় হাত দিয়ে বলেন ভয় না পেতে। তিনি মনে করেন সবকিছু পেয়েছেন তাঁর বাবার আশীর্বাদে। এছাড়াও তিনি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি পোস্ট করেন, যেখানে সবাইকে করোনা সংকট থেকে উঠে দাঁড়াতে বলেন এবং সবাইকে সুস্থ এবং সুখে থাকার কামনা করেছিলেন।