বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত শহর কলকাতা

0 0
Read Time:4 Minute, 36 Second

নিউজ ডেস্ক বায়ুদূষণের কালো ছায়ায় কার্যত ঢেকে রয়েছে গোটা কলকাতা। শহরের আকাশে এখন এই বায়ুদূষণ নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতা বায়ু দূষণের তালিকায় প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। এই বায়ুদূষণ কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে চিন্তিত কলকাতার পুর প্রশাসন।

শহরের বায়ু দূষণ কমাতে প্রকাশ্যে জঞ্জাল আবর্জনায় আগুন জালানো বা ফুটপাথে উনুন জ্বালিয়ে রান্না করার ব্যাপারে একাধিক বিধি নিষেধ জারি করেছিল । কিন্তু সেই বিধি-নিষেধ মানা হচ্ছে কি না সে ব্যাপারে কোনও নজরদারি নেই। ফলে বায়ুদূষণের মাত্রা আজ ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে ।

বৃক্ষছেদন এবং অবৈধ ট্যানারির দাপটে গোটা কলকাতার বাসিন্দারা দূষণে নাভিশ্বাস ফেলছে। বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি পুরসভার অধিবেশন শেষে জানিয়েছিলেন, কলকাতা পুরসভা কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হলে, তবেই বায়ুদূষণের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। এ ব্যাপারে তিনি কাউন্সিলরদের পুরস্কার করার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু মেয়র এই বিষয়টি নিয়ে ভাবলেও আদতে তা কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কাউন্সিলরদের এত ক্ষমতা নেই যে নিজ নিজ ওয়ার্ডে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলবে। শুধুমাত্র বৃক্ষরোপণ করলেই, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। যে ভাবে পুরনো গাড়ির ধোঁয়া বেড়েছে এবং শহরের পূর্ব অংশে অবৈধ ট্যানারি এবং খাটাল বেড়েছে, সেগুলো নিয়ে কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় ।

পুরসভা সূত্রের খবর, ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি করোনা অতিমারির আগে বৈঠকে বসেছিল একাধিক বার। সেই সময়ে কমিটির তরফে শহরের বায়ুদূষণ সংক্রান্ত পর্যালোচনা পুরসভার কাছে তুলে ধরা হলেও চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। গত মার্চ-এপ্রিলে কমিটির সদস্যরা ফের বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুরকর্তাদের একাংশ। এমনিতে করোনা অতিমারির জেরে লকডাউনের কারণে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় বিশ্ব জুড়েই বায়ুদূষণের মাত্রা তুলনায় কম। রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ৭ শতাংশ কম হয়েছে।

কলকাতার বাতাসে ‘বিপদ’

সূক্ষ্ম ভাসমান শ্বাস বাহিত ধূলিকণার মাত্রা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রো গ্রামের বেশি থাকলে বিপদ। কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, প্রতি ঘনমিটারে ৪০ মাইক্রো গ্রামের বেশি ধূলিকণা থাকলেই বিপদ। অথচ কলকাতায় রয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৩০০ মাইক্রো গ্রাম ধূলিকণা। সে দিক দিয়ে দেখলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী অনেকটাই বেশি রয়েছে কলকাতায়, যা বিপদসীমার ওপরে। ১০ ‘বিষাক্ত’ শহরের চারে কলকাতা

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!