তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বর্ধমান
নিউজ ডেস্ক তৃণমূলের নাম করে এলাকা থেকে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। যা কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমান পৌরসভার অন্তর্গত ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায়।
সেখানে থাকা একটি চারচাকা গাড়ি এবং বাইকের উপরও ভাঙচুর চালায় তাঁরা। দু’পক্ষের হাতাহাতিতে উত্তপ্ত এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। এছাড়াও বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় ওই এলাকায়।
জানা যায়, স্থানীয় এক বাসিন্দা সেখ সেলিমের কাছ থেকে বেশ কয়েক দিন আগে বাড়ি করার জন্য কয়েক হাজার টাকা চাওয়া হয়। সে সেই টাকা দেবে না বলে জানায়। তারপর থেকেই তাঁর উপর ক্ষোভ সৃষ্টি হয় ওই ক্লাবের সদস্যদের। সোমবার সেখ সেলিম ক্লাবের পাশ থেকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাকে আটক করে ক্লাবের সদস্যরা এবং হুমকি দেওয়া হয় তাকে। তারপর তাঁর বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয়, বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এমনকি বাড়ির মহিলাদেরও রেহাই দেয়নি তাঁরা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সেখ হাবল জানান, সেখ তোতার অনুগামীরা দীর্ঘদিন ধরে এই তোলাবাজির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এলাকায়। তাঁরা তৃণমূলের নাম করে এলাকাবাসীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে। আর সেই টাকা না দেওয়া হলেই মারধর চলে তাদের। এমনকি দিনমজুর থেকে টোটো চালক কেউই বাদ যায় না তাদের তোলাবাজি থেকে। গতকাল যে স্থানীয় বাসিন্দাকে মারধর করে তাঁরা, সে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর হয়ে প্রতিবাদে নামেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
তোলাবাজি এবং মারধর করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছেন সেখ তোতা। তিনি বর্ধমান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান বলে জানা যায়। তিনি বলেন, এই তোলাবাজি এবং মারধরের সাথে কারো কোন সম্পর্ক নেই।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে এলাকা দখলদারী নিয়ে এই অশান্তি। কিন্তু জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিত্ দাস জানান, তৃণমূলের কোনরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বিজেপির মদতেই এই ধরনের কাজ করছেন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা। পুলিশ প্রশাসনকে এ বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।