তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ED!
নিউজ ডেস্ক::নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিধানসভার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার বাড়িতে পৌঁছে গেলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চারজনের একটি টিম বিধায়কের বাড়িতে রয়েছে। পাশাপাশি একযোগে বিধায়কের শ্বশুরবাড়িতেও ইডির একটি টিম গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বিধায়কের অফিসেও তল্লাশি চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিধায়কের অফিস, বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। কাউকে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিধায়কের বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা যখন পৌঁছন সেই সময়ে একটি বৈঠক চলছিল।
বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সামশের দেওয়ান, মহিলা নেত্রী তথা বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির জন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ টলি বেগম সহ একাধিক নেতৃত্ব সেখানে ছিলেন বলেই খবর। তবে এই মুহূর্তে সবাই বিধায়কের বাড়িতে আটকে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ঘন্টাখানেক হয়ে গিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে বিধায়ককে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে বিধায়কের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদেরও জেরা করা হচ্ছে বলে খবর। বিধায়ককে জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতিতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করা হয়েছে।
সম্প্রতি কুন্তল ঘোষকে জেরা করে বেশ কিছু নাম পেয়েছেন আধিকারিকরা। আর সেই নামের মধ্যে কৌশিক ঘোষ বলে এক ব্যক্তির নাম পান আধিকারিকরা। পরে জানা যায়, এই জেলাতে স্থানীয় এজেন্ট হিসাবে কৌশিক ঘোষ কাজ করছে। আর এরপরেই তাঁকে জেরা করেন আধিকারিকরা। আর তাঁকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পান আধিকারিকরা।
এমনকি কৌশিককে জেরা করে জীবনকৃষ্ণের নাম পান আধিকারিকরা। আর সেই সুত্র ধরেই আজ শুক্রবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি সহ একাধিক জায়গাতে হানা দিল ইডির আধিকারিকরা। তল্লাশিতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিনে একাধিকবার প্রভাবশালী তত্ত্বের কথা আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারককে কেস ডায়েরি দিয়ে নাম দেখার কথাও বলেছেন তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীরা। শুনানিতে তাঁরা জানিয়েছিলেন, একাধিক প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম বলা যাবে না বলেও দাবি করেন।
আর এরপরেই বড়ঞা বিধানসভার বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি গুরুত্বপূর্ণ বলেই দেখা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।