আগের তুলনায় ইলিশের আমদানিতে হ্রাস
নিউজ ডেস্ক:আগের তুলনায় ইলিশের আমদানিতে হ্রাস পড়েছে মাছের রাজা ইলিশ। বর্তমানে ইলিশের আমদানি আগের তুলনায় অনেক খানি কমেছে। তার মধ্যে যে ইলিশ গুলি ধরা পড়ে সেগুলি আকৃতিতে ছোট। ইলিশের বেশি আমদানি হয় বাংলাদেশে। তবে প্রশ্ন উঠছে পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী ও হুগলি তে আগের ইলিশের দেখা কেন মেলে না? হুগলি নদীতে জলস্রোত কমে যাওয়ায় ১৯৭৫ সালে তৈরি হল ফরাক্কা ব্যারেজ। একইভাবে চাষের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দামোদর নদীকে আটকে তৈরি করা হয়েছে মাইথন, পাঞ্চেত। সাময়িক সুবিধা পেলেও বাঁধ পরবর্তী সময়ে পলি পড়ে নদীর খাতকে অগভীর করেছে। বাঁধের সামনের দিকে নদীখাত আজ প্রায় স্রোতহীন। প্রতি বর্ষায় তীব্র গতিতে নেমে আসা জল নদীর খাত গভীর করে নদীবক্ষে জমে থাকা পলিকে ঠেলে নামায় সমুদ্র সংলগ্ন মোহানায়, যা জন্ম দেয় মাছের খাদ্য প্ল্যাঙ্কটনের। ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমে জুলাই থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে সাগর থেকে মোহানা হয়ে ইলিশ নদীতে ঢোকে। মিষ্টি জলে ডিম ছেড়ে সমুদ্রে ফিরে যায় অর্থাৎ প্রজনন ও স্পনিংয়ের জন্য। ফিরে যাওয়ার পথে মোহনার কাছে ফের জালে ধরা পড়ার জন্য ইলিশের একটা অংশ গঙ্গার বিভিন্ন জায়গায় থেকে যায়। যেগুলোকে আমরা অসময়ে পেয়ে থাকি। কিন্তু যে ইলিশগুলি ধরা পড়ে সেগুলির ওজন ১০০ থেকে ৩০০ গ্রাম। বর্তমানে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে ইলিশের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।