বখরা বা তোলাবাজির ভাগ পেতেন অনুব্রত
নিউজ ডেস্ক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে নাজেমা বিবির। বগটুইতে সোমবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন নাজেমার স্বামী শেখলাল শেখ।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করলেন, বখরা বা তোলাবাজির ভাগ পেতেন অনুব্রতও। শুধু অনুব্রত নয়, পুলিশ, আনারুল প্রত্যেকে ভাদু শেখের ব্য়বসা থেকে বখরা বা তোলার টাকা পেতেন বলে অভিয মৃত উপপ্রধান ভাদু শেখের বেআইনি কয়লা ও বালির ব্যবসা ছিল তাঁর দাবি, সেই বখরার ভাগ পেতেন ওসি, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন ও জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
বগটুই-এর স্বজনহারাদের পরিবার আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোয় ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বগটুই-কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের নাম জড়াল । শেখলালের অভিযোগ, ভাদু শেখের লোকজনই বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল। , ভাদুর সঙ্গে ছিলেন অনেক ছেলে থাকত। ভাদু খুন হওয়ার পর থেকে আর তাঁদের এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।
সেই রাতে এতবার বোমা পড়া সত্ত্বেও কেন পুলিশ গেল না,। শেখলাল জানিয়েছেন, রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে আগুন লাগলেও, সেই আগুন নেভাতে দমকল যায় মঙ্গলবার সকালে। পাশাপাশি তাঁর দাবি এসডিপিও তাঁদের পাড়াতেই থাকেন। হেঁটে গেলেও ৫ মিনিট লাগবে। আর থানা থেকে গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছতে লাগে ৮ থেকে ১০ মিনিট। তা সত্ত্বেও সেই রাতে কেউ আসেনি।
তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরই বগটুইয়ের এই হত্যাকাণ্ড। আর সেই ভাদু শেখের বাবা নিজেই জানিয়েছেন, বখরার ভাগ না দেওয়ার জন্যই খুন হতে হয়েছে ভাদু শেখকে। বছর খানের আগে খুন হয়েছিলেন ভাদু শেখের ভাই। আর এবার ভাদু শেখ।