গাড়িতে লাল বাতির ব্যবহারই নিষিদ্ধ
0
0
নিউজ ডেস্ক মঙ্গলবার বোলপুর থেকে কলকাতায় এলেন রাতে। সাদা গাড়ি মাথায় ঘুরছে লাল বাতি।
আবার তিনি বুধবার সকালে চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে যান। কালো গাড়ি ছিল। মাথায় সেই জ্বলছে লাল বাতি।
সেখানে রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একটি জেলা শাখার সম্পাদক অনুব্রত মণ্ডল কী ভাবে লাল বাতি দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করেন, প্রশ্ন তুলছেন সিবিআই অফিসারদের কেউ কেউ।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশিকায় গাড়িতে লাল বাতির ব্যবহারই নিষিদ্ধ। ব্যক্তিগত গাড়িতে কেউ লাল বাতি ব্যবহার করতে পারবেন না। বাদামি হলুদ ব্যবহারের ছাড়পত্র আছে বিমানবন্দর, বন্দর এবং খনিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার্য গাড়ির ক্ষেত্রে।
অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের মতো জরুরি পরিষেবার গাড়িতে নীল আলো ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর ক্ষেত্রে ‘ লাল, নীল ও সাদা আলোর ব্যবহারের বিধান আছে। তবে ওই সুবিধা কারা পাবেন, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে।
অনুব্রত দু’টি কমিশনের চেয়ারম্যান। পদমর্যাদায় সেই দু’টি পদই মন্ত্রীর সমান। অনুব্রত স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি এবং পশ্চিমবঙ্গ স্বরোজগার নিগম লিমিটেডের সভাপতি। মন্ত্রীর সমতুল্য ওই পদে থাকলে কি লাল বাতির গাড়ি চড়ে ঘোরা যায়? রাজ্যের মন্ত্রীরাও তো লাল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়েন না। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে-গাড়িতে যাতায়াত করেন, তার মাথায় কোনও আলোই থাকে না। ফলে দু’টি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে অনুব্রত কী ভাবে লাল বাতি লাগানো গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়ান।
রাজ্যের পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের ১ মে কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী যে-তালিকাভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিরা গাড়ির মাথায় বাতি ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেই তালিকায় কোনও নিগমের সভাপতির নাম নেই। ফলে অনুব্রতের গাড়ির মাথায় বিশেষ আলো কী ভাবে এল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারছেন না পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরাও।
জেলায়ক কখনও জেলাশাসকের অনুমতিক্রমে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি গাড়ির মাথায় বাতি লাগাতে পারেন ঠিকই, তবে সেই গাড়ি সংশ্লিষ্ট জেলার বাইরে যেতে পারে না।
