গণপরিবহণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কলকাতা দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো
নিউজ ডেস্ক ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণপরিবহণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মহানগরী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই শহরের পরিবহণের উপযুক্ত পরিকাঠামো সেই সুযোগ করে দিয়েছে।
সাথে জ্বালানি তেলে চলা গাড়ির ব্যবহার কমেছে বিশেষ করে। সাথে কমেছে কার্বন সহ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন। সব মিলিয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের লড়াইয়ে। গত সোমবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমানোর জন্যই গণপরিবহণ ব্যবহারে জোর দেওয়ার কথা অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। কলকাতায় তা কীভাবে হচ্ছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। গণপরিবহণে ভরসা বাড়াতে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থা।
রিপোর্টে বলা হয় যে, রিকশ থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক মেট্রো পরিষেবা-সব মিলিয়ে প্রায় ১২ ধরনের গণপরিবহণ চালু রয়েছে কলকাতায়। এই সব গাড়িঘোড়ায় প্রত্যেকদিন প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। শহরতলি থেকে ট্রেনে কলকাতায় আসা-যাওয়া করেন বহু মানুষ। অল্প দূরত্বের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম কার্বন নির্গমন হয়, সেরকম পরিবেশবান্ধব অটো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এত ধরনের গণপরিবহণকে বিধিবদ্ধ ব্যবস্থায় পরিচালনা করতে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তারা এর জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নীতি ও বিধি তৈরি করেছে। কলকাতার মতো শহরে গরম থাকে বছরের বেশিরভাগ সময়। সেই কথা মাথায় রেখে এসি বাস কিনেছে সরকার। ফলে মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবী শ্রেণির মানুষজন এই ধরনের যানবাহন এখন নিশ্চিন্তে ব্যবহার করছেন। এসব পদক্ষেপের কারণে গত দশ বছরে কলকাতায় গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন প্রায় অর্ধেক হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এই পরিস্থিতির আরও উন্নতি করতে সুস্পষ্ট পরিবহণ নীতি প্রণয়ন ও এ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এই খবরে খুশি রাজ্যের প্রশাসনিক মহল। সরকারের এক শীর্ষ আমলা বলেন, আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি কলকাতা তথা রাজ্যবাসীর কাছে গর্বের। আমরা আরও উন্নত গণপরিবহণ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছি। জলপথ, স্থলপথ এবং মেট্রোর মতো বহুমাত্রিক গণপরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। কারণ, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও আবহাওয়া পরিবর্তনের বিপদ থেকে মুক্ত করতে হবে আমাদের।