মাধ্যমিকে পাশ করানো মুশকিল, পাশ করালে গ্রেড দিতে হবে
নিউজ ডেস্ক এই করোনা মহামারীতে ক্লাস ঠিক মতো না হলেও মাধ্যমিক পরীক্ষা আপাতত সম্পন্ন হয়েছে। এখন পালা মাধ্যমিকের রেজাল্টের। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের শেষের দিকে রেজাল্ট প্রকাশিত হবে। কিন্তু এবারের খাতা যেন অন্য রকম বার্তা বহন করছে।
ইতিমধ্যে বারাসাত মহাকুমার নেতাজী স্কুলের ইংরাজী শিক্ষক মাধ্যমিকের খাতা দেখছেন প্রায় কুড়ি বছর ধরে। বহু দুর্যোগের এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। আয়লা ও আম্ফানে তছনছ করে দিয়েছিলো গ্রামীন অনেক এলাকা। সেই সময়ও দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। কিন্তু সেবারেও সামগ্রিক চিত্রটা অন্য ছিলো।
২০০ টি খাতার মধ্যে পাশ করেছে ১০০ এর ও কম। সাধারন বানান ভুল করেছে অনেক পরীক্ষার্থী। বানান টাকে ইগনোর করেও ২০ থেকে ৩০ নম্বর দিতেই অনেকবার ভাবতে হচ্ছে। যদিও অনেক খাতাই ভালো মানের রয়েছে। কিন্তু সামগ্রিক চিত্রটা সত্যিই আশঙ্কার। ইচ্ছে না থাকলেও পাশ নম্বর দিতে পারছেন না অনেককেই। কিন্তু কিছু করার নেই, ৩০ নম্বরের উত্তর না থাকলে ৩০ দেবেন কি করে!
চিত্রটা শুধুমাত্রও ইংরাজীতেই হয়েছে, তা কিন্তু নয়। প্রথম ভাষা বাংলাতেও একই করুন দৃশ্য। পাশ নম্বরই তুলতে পারছেন না অনেকেই। গোলাবাড়িয়া মাধ্যমিক স্কুলের বাংলা শিক্ষক ও দীর্ঘদিন ধরেই মাধ্যমিকের খাতা দেখছেন। কিন্তু এই অভিজ্ঞতা তার আগে কখনো হয়নি।
বাংলা ইংরাজী এর মতো একই অবস্থা জীবন বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, ভুগোলেও। আর অঙ্কের কথা তো বলতেই চাইছেন না অনেক শিক্ষক। উপস্থিত বুদ্ধির মাধ্যমেও কিছু উত্তর লেখা যায়। সেই জায়গায় ও বোধমুলক প্রশ্নের উত্তর ঠিকভাবে দিতে পারেনি অনেক পরীক্ষার্থী। এইভাবে সমস্ত বিষয়ে লিখলে তারা পাশ করবে কিকরে?
এবারের ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন হয়েছে সেকথা সকলেরই জানা। তাই স্বভাবতই এই বিষয়ের উত্তরপত্রের অবস্থা আরও করুণ। তাই সামগ্রিক দিক দিয়ে দেখতে হলে, এবারের পাসের হার কমতে পারে। নতুবা অতিমারী পরিস্থিতির কথা ভেবে যদি কিছু মার্কস গ্রেজ দেয়, তবে পাসের হার বাড়তে পারে, বলেই মনে করছেন অনেকেই।