বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের তরুণ তুর্কি সভাপতি জেলায় জেলায় সাড়া ফেলছেন!
Read Time:4 Minute, 32 Second
নিউজ ডেস্ক::বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অসাধু চক্রের শরিক হচ্ছেন রাজ্যের শাসক দলের কিছু নেতা কর্মী। জেলায় জেলায় মানুষের ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন বাংলা গড়ার স্বপ্ন ধাক্কা খাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালেই মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় গড়ে ওঠে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চ। সংগঠনের সভাপতি তরুণ তুর্কি নেতা অধ্যাপক ওয়ায়েজুল হক এখন জেলায় জেলায় এই সংগঠনের ভিত মজবুত করতে পৌঁছে যাচ্ছেন আম জনতার দরবারে। গড়ে উঠছে স্থানীয় স্তরে সংগঠনের কার্যালয়।
সমাজের তৃণমুল স্তরের ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছেন অধ্যাপক ওয়ায়েজুল হকের বুদ্ধিদীপ্ত বক্তব্য। শনিবার অধ্যাপক ওয়ায়েজুল আসেন হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়া। নীল সাদা পতাকা নিয়ে এক বিশাল বাইকবাহিনী তাঁকে সাদরে বরণ করে নিয়ে আসেন সদ্য গড়ে ওঠা বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের নতুন কার্যালয়ে। কার্যালয়ের উদ্বোধন করে অধ্যাপক ওয়ায়েজুল হক বলেন, গত দেড় বছর আগে আমি স্থানীয় মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সাধারণ মানুষদের কাছে আমি দ্রুত বাঁশবেড়িয়াতে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় উপহার দেব। স্থানীয় এক বাসিন্দার সহযোগিতায় এই কার্যালয় স্থাপন করা সম্ভব হলো।আমি আপ্লুত স্থানীয় মানুষদের আবেগকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে। বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সদস্যরা প্রত্যেকে পাচ্ছেন একটি পরিচিতি পত্র ।সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক সাহায্যের জন্য পঞ্চায়েত প্রধান, পৌর প্রতিনিধি, বিধায়ক বা সাংসদের কাছে ছোটার প্রয়োজন থাকবে না। স্থানীয় স্তরের মঞ্চের কাছে অভাব,অভিযোগ, পরামর্শ দিতে পারবেন।
অধ্যাপক হক আরও বলেন, দেশ তথা রাজ্যে এক সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তি ধর্মে, বর্ণে বিভাজনের চক্রান্ত করছে। তাঁদের জানিয়ে দিতে হবে বাংলার মাটি, দুর্জয় ঘাঁটি। রবীন্দ্র নজরুলের বাংলায় বিভাজন কখনও সফল হবে না। আমরা জানি,রাজ্যের এক বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আসেন না। আমাদের তাঁদের কথাও ভাবতেও হবে। সেজন্যই গড়া হয়েছে অরাজনৈতিক সংগঠন বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চ। এখানে অরাজনৈতিক নাগরিক তো বটেই, এমনকি অন্য দলের সমর্থকেরাও তাঁদের নাগরিক সম্মান প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। যে কোনো বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দরকার ঐক্যবদ্ধ শক্তি।ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় মানুষের মধ্যে আমরা ব্যাপক সাড়া দেখছি। আমরা প্রমাণ করব সততার পরিভাষা।
এদিনের অনুষ্ঠানে স্থানীয় ধর্ম মত নির্বিশেষে মানুষের উপস্থিতি ছিল স্মরণে রাখার মত। অনুষ্ঠানে মঞ্চের অন্যান্য পদাধিকারী ও স্থানীয় সমাজসেবী ব্যক্তিত্বরা অধ্যাপক হকের প্রশংসা করে জানান, তাঁর নেতৃত্বে বাংলার তৃণমুল স্তরের হিন্দু মুসলিম ও অন্য ধর্মের মানুষের এক সচেতন অসাম্প্রদায়িক চেতনার ব্যাপ্তি ঘটবে। মানুষ অর্জন করবেন নিজের অধিকার।