সিবিআইয়ের এই তলবকে ‘নাটক’ বললেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম
নিউজ ডেস্ক কলকাতা: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআইয়ের জোড়া নোটিশ। গোরু পাচার কাণ্ডে শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রবিবার সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের এই তলবকে ‘নাটক’ বলে উল্লেখ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
শনিবার সিবিআইয়ের তলবের পর মহম্মদ সেলিম বলেন, চিদাম্বরমকে ধরতে তাঁর বাড়ির প্রাচীর টপকালেন সিবিআই। আর অনুব্রতকে হাজিরার জন্য নিজাম প্যালেসে আনতে পারছেন না বলে তিনি তোপ দাগেন।
এটা সিবিআইয়ের ‘নাটক’ বলেও সিপিএম নেতা উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমার মনে হয় এবার ওনার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়া দরকার। লোকে ওনার অসুখ নিয়ে হাসাহাসি করছে। একবার গেলে ভয় কেটে যাবে। তখন বার বার যেতে ইচ্ছা করবে। উনি কতটা পেয়েছেন ওপরে কতটা ট্রান্সফার করেছেন, সেটাও সিবিআইকে জানানো উচিত।’
বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতিকে সিবিআইয়ের নোটিশ পাঠানো ইস্যুতে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচর্য বলেন, ‘কালকেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। একমাস বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তিনি তো পালিয়ে যাননি। নিউটাউনে রয়েছেন। সিবিআইয়ের মনে হয়েছে অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠানো উচিত। তাই ডেকে পাঠিয়েছে।’
ভোটপরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় সকাল ১১টার মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে হাজির হতে হবে। নিঃসন্দেহে চাপে অনুব্রত মণ্ডল। ষষ্ঠবার অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গোরুপাচার কাণ্ডে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছেন। সিবিআইয়ের দুই প্রতিনিধি চিনারপার্কে অনুব্রত মণ্ডলের আবাসনে যান। অনুব্রত মণ্ডলের হাতে এই নোটিশ দিয়ে আসেন। তবে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনও অনুব্রত মণ্ডলকে কিছুটা সময় তারা দিতে চায়।