মাওবাদীদের নামে পোস্টার দিচ্ছে অন্য কেউ, খুঁজল পুলিশ
নিউজ ডেস্ক জায়গাটির নাম পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা। কিছুদিন আগেই গড়বেতার গণগনিকে মাওবাদীদের নামে পোস্টার পড়েছিল। মনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, তাহলে কি সত্যিই আবার মাওবাদীরা ফিরে আসছে জঙ্গলমহলে? সেই উত্তর অবশ্য জানা নেই। তবে কিছুদিন আগের ওই মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারের নেপথ্যে কারা, তা উদ্ধার করে ফেলেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে উঠে এসেছে, দুই জন ব্যক্তি বাইকে চেপে পোস্টার সাঁটাতে সাঁটাতে এগিয়ে যাচ্ছে। কারা এরা? মাওবাদী? এরা কেউ সরাসরি মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত নয়। এরা সব স্থানীয় দুষ্কৃতী। আগের দিন ওই গনগনি এলাকায় পিকনিক করেছিল সাত জন। তারপর এলাকার মানুষদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনায় ওই সাতজনকে গ্রেফতার করে হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে পাঁচজনকে শুক্রবার গড়বেতা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার বাকি দুই জনকে আদালতে পেশ করা হবে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের থেকে রাজ্য পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। জঙ্গলমহলের সব থানা এলাকাগুলিতে হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে। সব পুলিশকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অতীতের সেই চেনা আতঙ্ক যেন আবার ফিরে আসছে জঙ্গলমহলে। আর এরই মধ্যে সেই আতঙ্কের বাতাবরণকে কাজে লাগিয়েই নিজেদের ফায়দা তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। গড়বেতার গণগনি এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারের পর্দাফাঁস হওয়ার পর অন্তত তেমনটাই সন্দেহ করা হচ্ছে। মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে ধৃতরা যুক্ত নয়, ব্যক্তিগত আক্রোশ ও ভীতি সঞ্চারের জন্য এমন ধরনের পোস্টার দিয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এই বিষয়ে পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ধৃতদের মধ্যে তিন জন ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দা। গনগনিতে পিকনিক করেছিল ধৃতরা। তার পরেই তারা পোস্টার লাগায়। ব্যক্তিগত স্বার্থে এবং ভয় দেখানোর জন্য করেছে। বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলাতেও পোস্টার উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। ওখানকার পুলিশ যদি এদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সে ব্যাপারেও তাদের জানানো হয়েছে।”