কোন দিকে যাচ্ছে অশনি? জারি লাল সতর্কতা
নিউজ ডেস্ক গতিপথ পরিবর্তন করে নিল অশনি। ওড়িশা বা পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে নয়, ঘূর্ণিঝড় অশনি ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের দিকে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অশনি ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা শক্তি হারিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব উপকূল বরাবর এগোচ্ছে এবং তা অন্ধ্র প্রদেশেের কাকিনাড়া উপকূল স্পর্শ করে করে ফের পূর্ব দিকেই অগ্রসর হবে। বিশাখাপত্তনমের সাইক্লোন ওয়ার্নিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, কাকিনাড়া ও বিশাখাপত্তনমের মাঝ বরবার সমুদ্রপথে অগ্রসর হবে।
এছাড়াও আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অন্ধ্র প্রদেশে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গতকাল অবধি ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছিল, কিন্তু বিগত ছয় ঘণ্টায় তা অভিমুখ বদল করে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাড়া উপকূলের খুব কাছ থেকে বয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড়টি।
আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বদলে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং কাকিনাড়া উপকূল স্পর্শ করার পর তা বিশাখাপত্তনম উপকূল বরাবর উত্তর-পূর্ব অভিমুখে অগ্রসর হতে থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কাকিনাড়া, গণগাভরম ও ভীমুনিপত্তনম বন্দর এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশাখাপত্তনম, পূর্ব গোদাবরী, কৃষ্ণা ও গুন্টুর জেলার মতো অন্ধ্র প্রদেশের একাধিক জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর জেরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ক্ষয়ক্ষতির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। কাঁচা বাড়ি, কাঁচা রাস্তা, ধানের জমি, কলা, পেঁপে গাছের ক্ষেতও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
অতি ভারী বৃষ্টির জেরে নীচু জায়গা, যেখানে জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই জায়গাগুলি এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই বিশাখাপত্তনম বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ৩০টি বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।