ঋণের টাকায় জর্জরিত স্বামী, স্ত্রী বেছে নিল চরম পথ

0 0
Read Time:2 Minute, 55 Second

নিউজ ডেস্ক পণ নিয়ে বিয়ে করেছিলেন তিন বছর আগে। কিন্তু এরপরও মেটেনি আবদার। লাগাতার চলছিল পণের জন্য দাবি। সঙ্গে অকথ্য অত্যাচার। শেষমেশ আর না পেরে মর্মান্তিক পরিণতি গৃহবধূর। আত্মহত্যা প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগ স্বামী, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে।

বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার হঠাৎগঞ্জ সাহাপাড়ার ঘটনা। তিন বছর আগে হাসনাবাদ থানার হরিকাটি গ্রামের বছর বাইশের রিমা সাহার সঙ্গে বিয়ে হয় স্বরূপনগরের হঠাৎগঞ্জ সাহাপাড়ার বাসিন্দা পেশায় ফাস্টফুডের দোকানের মালিক গোবিন্দ সাহার। রিমার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের সময় সাধ্যমত রিমার পরিবার সোনার গহনা, আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ দিয়েছিল। কিন্তু দিনের পর দিন তাঁদের চাহিদা বেড়ে যায়।
রিমা ও তাঁর পরিবারকে লাগাতার পণের দাবিতে চাপ দিতে থাকেন স্বামী গোবিন্দ। পণ না দেওয়ায় রিমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বেড়েই চলে। কয়েকদিন ধরে এই নিয়ে গণ্ডগোল চলছিল দম্পতির মধ্যে। অভিযোগ, মারধরও করা হত বাড়ির বউকে। শেষে দশ হাজার টাকা নগদ চেয়েছিলেন গোবিন্দ। কারণ তিনি অনলাইনে জুয়ার নেশায় বুঁদ হয়েছিলেন। এই নিয়ে রিমার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

উল্লেখ্য, মৃত গৃহবধূর মা নমিতা সাহা জামাই গোবিন্দ সাহা, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে স্বরূপনগর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় স্বামী গোবিন্দ সাহাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। মৃত বধূর মা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। অঝোরে কাঁদতে-কাঁদতে মৃতার মা বলেন, “আমার জামাই মারধর করেছে সোনার গহনা ও টাকা দেওয়ার জন্য। মেয়ে কিছু না দেওয়ায় ওর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি চাই ওর কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হোক।”

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!