রাজ্য নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ শাহ
নিউজ ডেস্ক রাজ্যে অমিত শাহের উপস্থিতিতেই মৃত্যু হয়েছিল বিজেপি কর্মীর। নিজের কর্মসূচি বাতিল করে ঘটনাস্থলে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর মুখেও সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছিল। অনেকের মতো ওই ঘটনাকে রাজনৈতিক হত্যা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলল অন্য কথা সেটা বুমেরাং হয়ে ফিরে এলো বিজেপির দিকেই। রিপোর্টে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার কোনও প্রমাণই মেলেনি।
কিন্তু শাসকদলে অর্জুন চৌরাসিয়া হত্যাকে সাধারণ আত্মহত্যার চোখেই দেখেছিল। ময়নাতদন্ত তাদের বক্তব্যকে আরও মজবুত করার জোর দিল। তৃণমূল এখন বলছে, মিথ্যাচার করতে গিয়ে মুখ পুড়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর দাবি, “ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাশীপুরে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। ওই দিন তিনি অসত্যের ঝুড়ি সাজিয়ে নিয়ে এসেছিলেন! আমাদের দাবিই যে সত্য, তা ময়না তদন্তের রিপোর্টে প্রমাণিত।
এসব যে টেঁকে না, তা স্পষ্ট।” চন্দ্রিমার অভিযোগ, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে গিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কাছে এই রকম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আশা করি না। উনি মিথ্যা বলেছেন।” রাজ্যের মন্ত্রী মনে করেন, তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতেই বিরোধী দলের মৃত্যু নিয়ে ষড়যন্ত্র।
। বিজেপির খুনের দাবিতে ভরসা করে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন শাহ। তিনি নিজেও দলীয় নেতৃত্বের উপর ভরসা করেছিলেন। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যে তাঁকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করেছে। একথা জানতে পেরেই ক্ষুব্ধ তিনি। আগে কিছু ভুইফোঁড় নেতার বাংলার মাটির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। কিন্তু এই মৃত্যু নিয়ে তাঁরা মাতামাতি করেছেন। আর সেই কারণেই মুখরক্ষা হল না দলের। সেই নেতাদের উপরই রেগে রয়েছেন অমিত শাহ। তাঁদের জন্যেই বঙ্গে বিজেপি ডুবছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
মৃত অর্জুন চৌরাসিয়াকে তৃণমূলকর্মী হিসেবে দাবি করেছিলন অতীন ঘোষ। জানা গেছে, ঘটনার পরদিন একটি ছবি পান। তৃণমূল নেতার দাবির প্রমাণও নাকি পেয়েছিলেন তিনি। আগে ওই ছবি দেখলে ঘটনাস্থলে যেতেন না বলেও মতপ্রকাশ করেছেন ক্ষুব্ধ শাহ। শাসক দলের দিকে আঙুল তুলে ময়না তদন্তের রিপোর্টে বদল হয়েছে বলা যাবে না। কারণ হাইকোর্টের নির্দেশেই আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে মৃতদেহ কাটাছেরা হয়েছে। তাই অভিযোগের আঙুল তোলাও যাবে না। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এভাবে ভর্ত্সনার শিকার হওয়াকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল