আট বছরে সর্বোচ্চ খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ভারতে

0 0
Read Time:3 Minute, 5 Second

নিউজ ডেস্ক মূল্যবৃদ্ধিতে আগে থেকেই নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আর এবার একলাফে মুদ্রাস্ফীতির হার যে ভাবে বাড়ল, তাতে জিনিসপত্রের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এপ্রিল মাসে রিটেল ইনফ্লেশন বা খুচরো মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৭.৭৯ শতাংশ। গত আট বছরে এটাই সর্বোচ্চ। বিগত মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফীতির যা হার ছিল, তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে এপ্রিল মাসে। ইতিমধ্যে ১১০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও আকাশছোঁয়া। এই অবস্থায় এই মুদ্রাস্ফীতির কারণে আরও বিপাকে পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষ।

কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে মুদ্রাস্ফীতির সীমা তৈরি করেছিল, তা পেরিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে টানা চতুর্থ মাস আরবিআই দ্বারা নির্ধারিত বিপদসীমার ওপরেই রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। তবে মার্চ মাসেই খুচরো মুদ্রাস্ফীতি হার ছিল ৬.৯৫ শতাংশ। এপ্রিলে একধাক্কায় সেটা অনেকটাই বেড়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৪.২৩ শতাংশ। আর এক বছর পরই সেটা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাতের কারণে ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই এই মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়ছে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। মুদ্রাস্ফীতির প্রকোপ কবে কাটবে তা এখনই বলতে পারছেন না কেউ। অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে আবারও বাড়বে মুদ্রাস্ফীতির হার। গ্রামাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে ৮.৪ শতাংশ, যা ১২ বছরে সর্বোচ্চ। আর শহরাঞ্চলে সেই হার বেড়েছে ৭.১ শতাংশ। যা থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, গ্রামাঞ্চলের মানুষের ওপর মূল্যবৃদ্ধির বোঝা বাড়বে আরও। অর্থাৎ যাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনামূলকভাবে খারাপ বলে ধরে নেওয়া হয়, তাঁদের ওপরেই কোপ পড়বে বেশি।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!