রূপান্তরকামী প্রেমিকাকে বিয়ে ধূপগুড়ির যুবকের

0 0
Read Time:3 Minute, 18 Second

নিউজ ডেস্ক অন্য রকম ভালোবাসার সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ির জামালদহ গ্রাম। রূপান্তরকামীকে বিয়ে করে নজির গড়লেন এক যুবক। পরিবারের লোকেদের পাশে না পেলেও, এলাকারবাসী উপস্থিত ছিলেন সেই বিয়েতে। তাঁদের সহায়তায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন  ২ জন। এর জেরে পরিণতি পেল তাঁদের এক দশকের প্রেম। পাড়া প্রতিবেশীদের আশীর্বাদ নিয়েই নতুন জীবন শুরু করলেন ওই নব দম্পতি।
রূপকুমার রায় নামের ওই যুবকের বাড়ি জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। রূপান্তরকামী রিমি রায়ের বাড়িও ধূপগুড়িতে। কিন্তু তাঁরা ২ জনই থাকতেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম জামালদহে। সেখানেই তাঁদের পরিচয়। তার পর ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্যে। গত ১০ বছর ধরে প্রেমিক প্রেমিকা ছিলেন রিমি ও রূপকুমার। এক সঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। এলাকাবাসীদের পাশে পেয়ে বিয়ে করলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পরিণতি পেল তাঁদের এক দশকের প্রেম।

সামাজিক রীতিনীতি মেনেই বিয়ে হয়েছে মিমি ও রূপকুমারের। বিয়ের পর রিমি বলেছেন, “সম্পর্ক নিয়ে আমরা সুখী ছিলাম। সেই সম্পর্ককে বিয়েতে পরিণত হওয়ায় আমরা খুব খুশি।” ১০ বছরের প্রেম থাকলেও ছোট্ট একটি ঘটনা নিয়ে রূপকুমারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তাঁর কিন্তু তাঁরা সেই মনান্তর দূর করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিমি। তিনি আরও বলেছেন, “সমাজ তো আমাদের মেনে নিতে চায় না। কিন্তু ও আমার পাশে থেকে বলেছিল, কেউ কিছু বললে আমি বুঝে নেব। তুমি কোনও চিন্তা করো না। ওর এই কথা আমাকে ভরসা জুগিয়েছিল।“ রিমিকে বিয়ে করার পর রূপকুমার বলেছেন, “আমি ওকে খুব ভালোবাসি। সারা জীবন ওর সঙ্গে থাকব।“

রিমি ও রূপকুমারের এক প্রতিবেশী বলেছেন, “ওদের মধ্য়ে অনেক দিন ধরেই ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। ওরা বিয়ে করার জন্য আমাদের সাহায্য চেয়েছিল। আমরা এগিয়ে এসেছি। ওদের সাহায্য করেছি। আমরা চাই ওরা খুব আনন্দে থাকুক। আমরা সবাই ওদেরকে আশীর্বাদ করেছি। খুব সুখী হোক ওরা।” খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি বক্স বাজিয়ে নাচগানও হয়েছে। পরিবেশ দেখেই বোঝা যাচ্ছে রিমি-রূপকুমারের বিয়েতে কেমন আনন্দ করেছেন জামালদহের বাসিন্দারা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!