সকলের জন্য কন্যাশ্রী সুবিধা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ
নিউজ ডেস্ক কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না কোনও যোগ্য স্কুলছাত্রী। আবেদনপত্র জমা না করতে পারলেও পড়ুয়াদের চিহ্নিত করে এই প্রকল্পের অধীনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সাধারণত সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ১৩ থেকে ১৮ বছরের ছাত্রীরা আবেদন করার পরেই তারা কন্যাশ্রী-১ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হবে।
শুধুমাত্র আবেদন করতে না পারার কারণে এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে কেউ বাদ পড়ল কি না, তা যাচাই করার কোনও পদ্ধতি এতকাল ছিল না। তাই সবটাই নির্ভর করতো জেলা আধিকারিকদেরই উপর। তার জন্য কিছু ছাত্রী রয়ে যেত প্রকল্পের বাইরে।
দপ্তর সূত্রের খবর, স্কুলশিক্ষা দপ্তরের ‘বাংলার শিক্ষা’ নামে একটি পোর্টাল রয়েছে। এতদিন তাতে থাকত কোন স্কুলে মোট কতজন ছাত্রছাত্রী রয়েছে শুধু তার পরিসংখ্যান। নতুন পরিকাঠামোযতে প্রত্যেক স্কুলের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর নাম এই পোর্টালে লেখা থাকছে।
এবার নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর শিক্ষাদপ্তরের এই তথ্য ব্যবহার করবে। তার ফলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য প্রতিটি ছাত্রীকে সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। এক আধিকারিক জানান, ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টাল থেকে একটি স্কুলের ছাত্রীদের তালিকা মিলিয়ে দেখলেই আমরা বুঝতে পারব প্রকৃতপক্ষে কতজন কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত। সেই অনুযায়ী যদি আবেদন পত্র না আসে, তখন আমরা খোঁজ নেব-আবেদনপত্র কারা এবং কী কারণে জমা করতে পারেনি।
তাদের নাম পাঠিয়ে আবেদনপত্র জমার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হবে জেলা এবং স্কুলের আধিকারিকদের। এখনও পর্যন্ত মোট সাড়ে ৭৭ লক্ষের বেশি ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। নতুন উপভোক্তারা এবারও এই প্রকল্পে যুক্ত হবে। তবে অন্যান্য বছর কতজন ছাত্রী নতুন করে এই প্রকল্পের আওতায় আসবে তার হিসেব কষে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
শিক্ষাদপ্তরের পোর্টাল অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির প্রতিটি ছাত্রীকেই কন্যাশ্রীতে নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে আলোচনা করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১২ সালে। এজন্য ২০১৭ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের পুরস্কার পায় বাংলা। প্রকল্পটি বাল্যবিবাহ কমাতে বিরাট ভূমিকা নিয়েছে।