শর্ত দিয়ে জ্যাকলিনকে দেশ ছাড়ার অনুমতি আদালতের
নিউজ ডেস্ক প্রায় ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার বলিউড নায়িকা জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র তরফে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে ‘লুকআউট নোটিস’ জারি করা হয়েছিল। দেশ ছাড়ার অনুমতি ছিল না তাঁর কাছে। গত ডিসেম্বর দুবাই যাওয়ার সময়ে মুম্বই বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সপ্তাহখানেক আগেই ‘আইআইএফএ’ আওয়ার্ড শো-এর জন্য আবু ধাবি যাওয়ার জন্য দিল্লির এক আদালতে আবেদন জানান ৩৬ বছর বয়সি নায়িকা। শনিবার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে জ্যাকলিনকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিল দিল্লি আদালত।
কিন্তু চাপানো হল বেশ কয়েকটি শর্ত। আগামী ৩১শে মে থেকে ৬ই জুন পর্যন্ত জ্যাকলিন আবু ধাবিতে থাকতে পারেন। সেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘লুকআউট নোটিশ’-এ স্থগিতাদেশ থাকবে। জ্যাকলিনকে নির্দেশ দেওয়া হল, দেশের বাইরে যেতে হলে তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা গচ্ছিত রেখে যেতে হবে। তিনি কোথায় কোথায় থাকছেন, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন, কোন নম্বরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে, সমস্ত তথ্য দিয়ে যেতে হবে। এবং দেশে ফেরার পর তদন্তকারী সংস্থাকে জানাতে হবে যে, তিনি দেশে ফিরেছেন।
তাঁর আবেদনপত্র অনুযায়ী, তিনি ১৫ দিনের জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। একইসঙ্গে ফ্রান্স এবং নেপালে ঘুরতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন জ্যাকলিন। প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্ক নিয়ে নানা জলঘোলার মাঝেই জানা যায়, সুকেশ তাঁকে বহুমূল্য উপহার দিয়েছেন। গত বছরের রেকর্ড করা বিবৃতিতে ইডিকে জ্যাকলিন জানিয়েছিলেন, তিনি গুচি, চ্যানেলের তিনটি ডিজাইনার ব্যাগ, জিমে পরার জন্য দুটি গুচির পোশাক, লুই ভুটনের এক জোড়া জুতো, দুই জোড়া হিরের দুল এবং বহু রঙের পাথরের একটি ব্রেসলেট আর দু’টি হার্মিস ব্রেসলেট ‘উপহার হিসেবে পেয়েছেন’ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে।