১০০০ বার করতে পারলে আমি আপনাকে ১০ হাজার টাকা দেব, মমতা
নিউজ ডেস্ক মমতার প্রশাসনিক বৈঠক মানেই বেশ চিন্তায় থাকেন আধিকারিকরা। কখন কার কী ভুল ধরে ফেলন তাঁর চোখে ধরা পরা আধিকারিকদের ভুলগুলো শুধরেও দেন । একটু বকাবকিও করেন।
এদিন পুরুলিয়াযর প্রশাসনিক বৈঠক এই রকমই এক ঘটনা ঘটল ।সাধারণ মানুষের কাজ করার জন্য ঘুষ নিচ্ছে সরকারি আধিকারিকরা এমন অভিযোগও তোলেন স্বয়ং তিনি। দালাল চক্র নিয়ে জেলা প্রশাসনকে তীব্র ভর্ত্সনা করতে শোনা গেল । তারই মধ্যে এক ভদ্রলোকের ভুরি প্রসঙ্গে কিছুটা হালকা মেজাজে দেখা গেল নেত্রীকে।
তিনি হলেন ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল। চেয়ারম্যানকে দাঁড় করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় সমস্যার কথা জানতে চান। চেয়ারম্যান উঠে দাঁড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী হঠাত্ তাকে প্রশ্ন করে বসেন ‘এই আপনার এত্ত বড় ভুঁড়ি কেন?’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে খানিক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান সুরেশ। তারপর কোনও ভাবে নিজেকে সামলে জবাব দেন, ‘না আমার সুগার আছে, না প্রেসার আছে।’ চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের এমন উত্তর শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু তো ডেফিনটলি আছেই। নিশ্চয়ই লিভারটা বড়। কিছু না হলে এত বড় মধ্যপ্রদেশ হয় কি করে?’
তিনি বলেন, দিদি আমি রোজ ৩ ঘন্টা ব্যায়াম করি। এইবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করে বসে, ‘ব্যায়াম করেন দেখান তো দেখি!’ অগত্যা সুরেশ কিছু একটা করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তা দেখেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘আরে এটা তো আপনি প্রাণায়াম করছেন। এটা তো কপালভাতি করছেন। দিনে কতবার করেন।’ সুরেশ জানান দিনে তিনি ১০০০ বার করেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০০০ বার হতেই পারেনা। কই এখন করে দেখান তো দেখি? সুরেশ অপ্রস্তুত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন ‘দিদি এখন দেখাতে হবে’ মমতা বলেন হ্যাঁ, স্টেজে এসে দেখান। ১০০০ বার এটা করতে পারলে আমি আপনাকে ১০ হাজার টাকা দিব।
তবে এরপর নিজের গোপন কথাটি স্বীকার করেন। তিনি বলেন,তেলে ভাজা খাওয়ার অভ্যাস আছে। সকালে পকোড়া খান,সেটা না খেলে ওঁর আর চলে না। তাই বর্তমানে তার ওজন ১২৫ কেজি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় স্টেজে দাঁড়িয়ে সুরেশ আগারওয়াল কে প্রেসক্রিপশন বলে দেন। তিনি বলেন, এক মাস এখন থেকে সেদ্ধ ভাত খেতে হবে। সন্ধ্যে সাতটার মধ্যে খাওয়া শেষ করুন না হলে পরদিন সকাল দশটা পর্যন্ত কিছু খাবেন না।সব দিকেই নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।