তৃণমূল করতে পারব না বাকি যে কোনও শর্তে রাজি , অধীর
নিউজ ডেস্ক আন্দোলকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী
প্রয়োজনে চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে কোর্টে যেতে রাজি তিনি ।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে অধীর বলেন, “আপনারা যদি রাজ্যে ২০ থেকে ২৫টা আসনের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারতেন বা আপনাদের হাতে সেই ক্ষমতা থাকত তাহলে এতক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের কাছে চলে আসতেন। কিন্তু, সেই ক্ষমতা না থাকায় মমতা আপনাদের আন্দোলনকে পাত্তা দিচ্ছেন না”।
এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঁচাছালো ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে অধীর বলেন, “এই বাংলাতেই সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম অন্দোলন করেছেন। রাস্তায় নেমে আন্দোলনও করেছিলেন তিনি নিজেই। অথচ তিনিই আজ মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসে গণআন্দোলনকে গ্রহণের মধ্যে আনছেন না। আজ বাংলায় লক্ষ লক্ষ পদ খালি পড়ে আছে। অথচ বেকার ছেলেমেয়ারা চাকরি পাচ্ছে না”। মমতার সিঙ্গুরে করা অনশন প্রসঙ্গেও তীব্র কটাক্ষ করেন অধীর । চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চে বসে অধীর বলেন, “আপনি তো প্রায় ২৫দিনের বেশি সময় ধরে হাওয়া খেতে খেতে প্যান্ডেলের নীচে বসেছিলেন। তখন আরও কত সুযোগ-সুবিধা পেয়েছিলেন সেসব আর বলতে চাইছি না। লাঠি খেয়েই আপনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু আজ সেই পুলিশকে দিয়েই আন্দোলন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন”।
অধীরের দাবি, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের বাংলাতেই মানবতাকে তিলে তিলে শেষ করছে মমতার সরকার। অন্যদিকে চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে অধীরের বার্তা, দরকার হলে আমি চাকরি প্রার্থীদের জন্য আদলতে যেতেও রাজি। আমি এখানে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে আসিনি। কাউকে কংগ্রেসের নাম মুখেও আনতে হবে না। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী যদি বলেন চাকরি দিতে একদিন না খেয়ে বসতে থাকতে, তাহলে তাই থাকব। শুধু তৃণমূল করতে পারব না। বাকি যে কোনও শর্তে রাজি আছি।