Space:মঙ্গল গ্রহে ‘অস্বাভাবিক’ দাগ পর্যবেক্ষণ
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::মঙ্গলগ্রহে বেশ কিছু অস্বাভাবিক দাগ পর্যবেক্ষণ করেছে রোভার। চকচেক এক বস্তু নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা। তা কি কোনও জীবনের লক্ষণ, তা অনুসন্ধানে নেমেছেন গবেষকরা। রোভার দেখিয়েছেন চকচকে বস্তুটি গর্তের দুটি পাথরের মধ্যে ঝুলে আছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভয় পাবেন না, এটা মঙ্গলগ্রহ নয়। এই চকচকে বস্তুটির সঙ্গে পৃথিবীর সংযোগ রয়েছে। চকচকে উপাদানটি একটি তাপীয় বস্তুর টুকরো বলে মনে করা হচ্ছে। প্রকৌশলীরা মনে করছেন, রোভারের অবতরণ পর্যায়ে ওই বিষমবস্তু লক্ষ করা গিয়েছে। মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে রোভারটি আলাদা হয়ে যায়। চকচকে উপাদান সম্ভবত সেই জেট প্যাকের অংশ বলেই ধারণা তাঁদের।
পারসিভারেন্স রোভার নিয়ে একটি গবেষণা বার্তায় বলা হয়েছে, “আমাদের দল অপ্রত্যাশিত কিছু দেখেছে। এটি একটি তাপীয় বস্তুর টুকরো বলেই মনে করা হচ্ছে। রোভারের অবতরণের পর্যায় থেকে তা উঠে এসেছে, রকেট চালিত জেট প্যাকের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২১ সালে অবতরণের সময় পারসিভারেন্স রোভার থেকেই ওই চকচকে বস্তু লক্ষ্য করা হয়।
দাগযুক্ত চকচকে উপাদানটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। রোভারের ওই গবেষক দল ওই উপাদানটি ঝুলন্ত দেখে বিস্মিত হয়। রোভারের অবতরণের সময় ওই ঝুলন্ত চকচকে খণ্ডটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাওয়া যায় বলে জানানো হয়েছে গবেষকদের তরফে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে, “এর পরে কি এই টুকরোটি এখানে পড়েছিল, নাকি এখানে বাতাসে উড়ে গিয়েছিল?” অধ্যবসায় দল অনুসন্ধান করছে তা নিয়ে। দলটি জেপিএল টিমের ছবিও প্রকাশ করেছে, যে টিম রোভারটি তৈরি করেছিল এবং তা তাপীয় অবস্থায় সংরক্ষিত করেছিল।
এসইউভি আকারের রোভার ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে মঙ্গলে রয়েছে। সম্প্রতি তার ক্যামেরা এবং মার্স এনভায়রনমেন্টাল ডাইনামিক্স অ্যানালাইজার বা এমইডিএ-র অন্তর্গত সেন্সরগুলির স্যুট ব্যবহার করে গ্রহের বাতাস পর্যবেক্ষণ করেছে। ক্যামেরাগুলি তিনটি দফায় বাতাসের ঝাপটা পর্যবেক্ষণ করেছিল, যা বড় ধুলোর মেঘে আচ্ছন্ন করেছিল রোভারকে।
সবথেকে বড় মেঘ প্রায় চার বর্গ কিলোমিটারের বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ছিল। মঙ্গল গ্রহের জাজেরো ক্রেটার বাতাসের ঝাপটার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।