President Election 2022:দ্রৌপদী মুর্মু কে?
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::১৯৫৮ সালে’র ২০ জুন দৌপদীর জন্ম।
ওডিশার ময়ুরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে তাঁর জন্ম। বাবা’র নাম বিরঞ্চি নারায়ণ টুডু। সাঁওতাল পরিবারে দ্রৌপদীর জন্ম। ছোট থেকেই পড়াশুনাও ভালো ছিলেন মুর্মু। শান্ত স্বভাবের মেয়েই আজ দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে। শ্যাম চরম মুর্মুকে বিয়ে করেন দৌপদী। তাঁদের ঘরে দুই সন্তান এবং একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু সুখের সংসার দ্রৌপদীর বেশিদিন ভালো ভাবে কাটল না। দুর্ঘটনায় স্বামী এবং দুই সন্তানকে হারাতে হয় তাঁকে। কিন্তু ভেঙে পড়েননি। বরং লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। কঠিন লড়াই।
রামা দেবী উওম্যান কলেজ, ভুবনেশ্বরে আর্টস নিয়ে পড়াশুনা। রাজনীতি তো বটেই, সামাজিক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত ছিলেন দৌপদী।
বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওডিশা থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু দ্রৌপদী’র। ওড়িশায় কাউন্সিলর হয়ে প্রথম রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন তিনি। ওড়িশায় ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিজু জনতা দলের জোট সরকারের সময় দ্রৌপদী মুর্মু মন্ত্রী ছিলেন। বাণিজ্য এবং পরিবহণ দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০২ সালের ৬ অগস্ট পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন। এরপর ২০০৪ সাল পর্যন্ত মৎস্য এবং প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ওড়িশার প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ২০০০ এবং ২০০৪ সালে রায়রাংপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন।
ঝাড়খন্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসাবে কাজ করছিলেন তিনি। ওড়িশার প্রথম মহিলা এবং আদিবাসী নেতা যিনি রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছিলেন। দ্রৌপদী মুর্মু নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতের প্রথম তদশিলি রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হবেন। এছাড়াও, তিনি ওড়িশার প্রথম রাষ্ট্রপতিও হবেন। যা গর্বের বলে দাবি। বলে রাখা প্রয়োজন, এদিন জেপি নাড্ডা বলেন, অন্তত ২০০টি নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হিসাবে। শেষমেষ দ্রৌপদীর নামেই শিলমোহর দেন মোদী-শাহ।