Politics:বিজেপিতে বিদ্রোহ চলছেই
শাশ্বতী চ্যাটার্জি::অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিল বিজেপি।
বিজেপির টার্গেট ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই জেলায় সংগঠন বাড়িয়ে তোলা। কিন্তু বিজেপির সংগঠন বাড়া তো দূর অস্ত, গেরুয়া পার্টিতে শুরু হয়েছে ইস্তফার হিড়িক। একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন। প্রাক্তন জেলা সভাপতির বিদ্রোহের পর আরও নড়বড়ে পরিস্থিতি বীরভূমে।
শনিবার সোশ্যল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইস্তফা দিলেন বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য ফণীরঞ্জন রায়। তিনি জেলা কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য ছিলেন। তাঁর পদত্যাগে নতুন করে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। শনিবার তিনি তাঁর ইস্তফার বয়ান ফেসবুকে প্রকাশ করেন। তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র হোয়াটস অ্যাপেও পাঠিয়ে দেন জেলা নেতৃত্বের কাছে।
বীরভূম জেলা কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য ফণীরঞ্জন রায় ফেসবুকে তাঁর ইস্তফার বয়ানে লেখেন- আমি ফণীরঞ্জন রায় ভারতীয় জনতা পার্টির বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য (এসআইএম)। আমি আমার পদ থেকে ইস্থফা দিলাম। এই ইস্তফা পত্রে তাঁর নিজের নামের বানান ভুল ছিল। তিনি ফণীরঞ্জন বানানে ‘ঞ্জ’-এর পরিবর্তে ‘জ্ঞ’ লেখেন। তবে এটি তাঁর টাইপো মিসটেক অর্থাৎ মুদ্রণে ভুল বলে তিনি জানান।
এদিন ইস্তফা দেওয়ার পর বিজেপির জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেন, দল তাঁর মূল্যায়ন করেনি। তাঁর কথাও কেউ শোননি দলে। বারবার বলেছেন দলকে, কিন্তু বৃথা চেষ্টা করেছেন। অবশেষে তিনি সিদ্ধান্ত নেন দল ছাড়ার। তাঁর দলত্যাগ নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, একেবারে অনভিপ্রেত এই ঘটনা।
তিনদিন আগে একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে দুবরাজপুরের শহর বিজেপির সভাপতি করুণাময় মুখোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। সোশ্যাল মিডিয়া তিনি জানান, দলের পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। তার এই পোস্টকে ঘিরে শুরু হয় জল্পনা। তিনি কি বিদ্রোহী প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলের দ্বারা প্রভাবিত নাকি তিনি শাসক শিবিরের পথে, তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে আরও এক জেলা কমিটির সদস্য ছেড়ে দিলেন বিজেপি। বিজেপিতে একের পর এক বিদ্রোহ লেগেই রয়েছে। জলপাইগুড়িতেও বিদ্রোহের জেরে পদত্যাগের হিড়িক চলছে।