নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ
নিউজ ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকার ৪০ শতাংশ চাকরিতে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৪০% এগিয়ে। এনিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বললেন, “আমি জানিনা এই তথ্য উনি পাচ্ছেন কোথা থেকে। কোন ওয়েবসাইটে। কোন দপ্তরে কতজন চাকরি পেয়েছে তার কোন হিসাব নেই। আর হিসাব তিনি দিতেও পারবেন না। যাও দু-চারজন চাকরি পেয়েছেন, টাকা দিয়ে পেয়েছেন। কত পরীক্ষায় লিস্টে নাম নেই। চাকরির ম্যাসেজ গেছে বাড়িতে। তিনি কি যোগদান করেছেন? ৪৫ বছর বয়সেও সরকারি চাকরিতে জয়েন করেছে। এরকম তথ্য আমাদের কাছে আছে মমতা ব্যানার্জি যেটা বলছেন ৪৫ শতাংশ লোক গুজরাট মহারাষ্ট্র দিল্লিতে চাকরি করছেন।
এছাড়াও এদিন রাজ্যে চাকরির বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বললেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার যে কাজ করছে তার জন্য যে চাকরির সুযোগ হচ্ছে। তার লাভ দেশের মানুষ পাচ্ছেন। বাংলার বাইরে গিয়ে সেই জন্য কাজ করতে হচ্ছে। এত এত বড় বড় ব্রিজ হাইওয়ে রেলওয়ে হচ্ছে সেখানে যে নতুন কাজ তৈরি হয়েছে। দেশের মধ্যে এসে কাজ করছে এই ধরনের উন্নতির জন্য নতুন নতুন কাজের সৃষ্টি হচ্ছে। সেটা দেশের লোক পাচ্ছেন না। হলে সারাদেশে বিদ্রোহ হতো। সারাদেশে কেউ ধর্না দিচ্ছে না পশ্চিমবাংলায় কেন ধর্না দিচ্ছে? লেখাপড়া জানা ছেলেরা পাস করার পর রাস্তার ধারে বসে থাকে।
১৭ হাজার চাকরি প্রস্তুত রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তিনি দিতে পারছেন না যে ১৭ হাজার আগে দিয়েছেন তার কি হবে তার মধ্যে কতজন পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। কেন প্রত্যেকটা নিয়োগকে বাতিল করে দিচ্ছে। হাইকোর্ট কেন তার নেতা নেত্রীরা চাকরি পেয়েছিলেন তাদের চাকরি চলে যাচ্ছে কেন? সব জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে কোথাও বিধি রুল মনে হয়নি আগামী দিনে।”
প্রসঙ্গত, ভুয়ো রেশন কার্ড নিয়ে টুইট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিম বাংলায় ৬৮ লক্ষ রেশন কার্ড বেরিয়েছে। আপনারা ভাবুন এই দু’বছর ধরে ফ্রি রেশন দিচ্ছে। কেন্দ্র সরকার গরিব যোজনাতে। তাতে যদি একটা লোক মাসে সাড়ে ৩০০ টাকা পায় একটা কার্ড পিছু তাহলে দু’বছরের রেশন কার্ডের মাধ্যমে যারা পেয়েছে তারা কারা, কত হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে ? বহু জায়গায় এরকম ভুয়ো নাম আছে ভোটার লিস্টের নাম ঢুকে গেছে । আমার মনে হয় ৭-৮ শতাংশ এই যে টাকাটা কেন্দ্র পাঠাচ্ছে সেই টাকাটা লুট হত। এটা বন্ধ হবে আমার কাছে তথ্য এসেছে। তাই আমি সেটা সাধারণ মানুষকে জানাতে টুইটার ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে তাই দিয়েছি।”
এদিকে, মুকুল রায় পিএসসি চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগের পর বিধানসভার স্পিকার বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি সম্প্রতি তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন একই জিনিস মুকুল রায় তৃণমূল জয়েন করেছিলেন তার পরে করা হয়েছিল । কৃষ্ণ কল্যাণী ও তৃণমূল জয়েন করেছে সব জায়গায় দুনম্বরী সব জায়গায় চালাকি সেই জন্য বিধানসভায় কিছু হচ্ছেনা। আর স্বাভাবিক এরকম করলে আমরা সহযোগিতা করতে পারব না। তারা চান না কোন কাজ বিধানসভায় কোন আলোচনা হোক এভাবেই চলুক। পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্রকে হাস্যস্পদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।