Anubrata Mondal:অনুব্রত মন্ডলের সম্পত্তি চমকে দেওয়ার মতোই

0 0
Read Time:3 Minute, 50 Second

শাশ্বতী চ্যাটার্জি::ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে অনুব্রত মন্ডলের!

ইতিমধ্যে গোরু পাচার-কাণ্ডে তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এমনকি বীরভূমের বেতাজ বাদশাকে কয়েক দফায় জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও। তবে সায়গলকে হেফাজতে নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

শুধু তাই নয়, সম্পত্তির খোঁজে একাধিক জায়গাতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। শুধু দেহরক্ষী সায়গলই নয়, অনুব্রত মন্ডলের সম্পত্তিও তদন্তকারীদের নজরে। ইতিমধ্যে তাঁর আয়-ব্যায়ের সমস্ত হিসাব খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। এমনকি আয়করের সমস্ত তথ্যও খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

আর এরপরেই আজ আসানসোল সিবিআই আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির নথি জমা দিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডল কেনা সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতকে জানান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। তাঁরা জানান, ৪৫ টি জমির দলিল পাওয়া গিয়েছে।

যা অনুব্রত মন্ডলের নামে তো বটেই, তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে’র নামেও কেনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। বিভিন্ন জায়গাতে এই সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, এই সময়ে দেহরক্ষী সায়গলও সম্পত্তি কিনেছেন বলেও দাবি গোয়েন্দাদের। সমস্ত কিছুই এখন সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে বলে এদিন জানান তদন্তকারীরা।

বলে রাখা প্রয়োজন, দেহরক্ষী সায়য়গেলের ইতিমধ্যে বিশাল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। রাজহাটের মতো জায়গাতে একের পর এক বিলাসবিহুল ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও জানতে পেরেছে সিবিআই। এমনকি যার মধ্যে একটি তাঁর কাজের লোকের নামেও কেনা বলে খবর। তবে এই বিপুল সম্পত্তি কয়লা কিংবা গরু পাচারের টাকায় কেনা কিনা সেটাই এখন তদন্ত করে দেখছে সিবিআই।

অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ইডিও খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে বলে খবর। অনুব্রত মন্ডল এবং সায়গলের এত সম্পত্তি কীভাবে এই সমস্ত বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও তদন্ত করবে বলে খবর।

জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে ইডির তরফে সিবিআইয়ের কাছে সমস্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এমনকি সায়গল হুসেনের সম্পত্তির বিষয়েও সিবিআইয়ের কাছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট নথি চেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পরেই কি এবার এই তদন্তেও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট? উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে ইডি তদন্ত শুরু করলে নতুন করে সায়গল হুসেনের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি অনুব্রত মন্ডলের উপরেও চাপ বাড়বে বলেই মত রাজনৈতিক কারবারিদের।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!