Suvendu Adhikary:২০২৪-এ তোলামূল কোম্পানি যাবে বঙ্গোপসাগরে

0 0
Read Time:5 Minute, 18 Second

নিউজ ডেস্ক::পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে মিছিলের পরে জনসভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সেই সভা থেকেই তিনি শাসক তৃণমূল কংগ্রেস এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জিহাদের ডাকের তীব্র কটাক্ষ করেন। বলেন, ২০২৪-এ পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার সঙ্গেই বিধানসভা নির্বাচন হবে।

যখন তিনি তৃণমূলে ছিলেন, সেই সময় দলের মধ্যেই অখিল গিরির সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না। আর এখন দুজন দুই দলে। এখন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিকে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
পাশাপাশি অখিল গিরিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ছাতাও নেই, জুতোও নেই। অবস্থা অনেকটাই কাকের মতো। বিপজে পড়া কৃষক হোক কিংবা মৎস্যজীবী কাউকেই সাহায্য করতে দেখা যায়নি অখিল গিরিকে। রাজ্যের এই হাফ মন্ত্রীকে আদালতে ছোটাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেন মন্ত্রী যেন রেডি থাকেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রামনগরের দুটি ব্লকে অত্যাচারে অভিযোগও করেছেন বিরোধী দলনেতা।

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টার্গেট নিয়ে কোনও শীর্ষ নেতা কিছু না বললেও, এদিন রামনগরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ইসবার মোদীজি ৪০০ পার। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের পরে বিজেপির লক্ষ্য হল ঝাড়খণ্ড। তারপরেই রয়েছে বাংলা। ২০২৪-এ লোকসভার সঙ্গে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তোলামূল কোম্পানিতে বঙ্গোপসাগরে ফেলা হবে।

বিরোধী দলনেতা বলেন, আম্ফানের পরে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে ৩৭৫০ কোটি টাকা দিয়েছিল। তিনি বলেন ভেঙে পড়া বাড়ির জন্য ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল। তিনি সভায় যাওয়ার মানুষজনের কাছে জানতে চান, কতজন ভাঙা বাড়ি বাবদ সাহায্য পেয়েছেন। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সভায় আসা কেউ পাননি। কিন্তু এক-একজন তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে ৫ থেকে ৬ টি বাড়ি সারানোর টাকা ঢুকেছে। গবাদি পশু না মরলেও সেই বাবদও টাকা লুট করেছেন তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা আর গ্রামসড়ক যোজনার কাজে স্টিকার মারতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। দুই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীর প্রকল্পকে রাজ্য সরকার নিজেদের প্রকল্প বলে চালানোর অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তারপরেই কেন্দ্রীয় দল আসতেই জায়গায় জায়গায় স্টিকার লাগায় রাজ্য সরকার। যে কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধী দলনেতা স্টিকারমনি বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, সবে তো ভোর, অপেক্ষা করুন। এরপর কেন্দ্রের দেওয়া পায়খানার নামও বদল করিয়ে তিনি ছাড়বেন। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা প্রকল্পের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলেই ৭৩ লক্ষ কৃষক ‘কৃষক সম্মান নিধি’র টারা পাবেন। এই মুহূর্তে মাত্র ৩১ লক্ষ কৃষক সেই টাকা পান।

শুভেন্দু অধিকারী এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২১ জুলাইয়ে জিহাদের ডাক নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ নিয়ে জিহাদের ডাক দিয়েছিলেন। ২০২১-এর ২ মে-র পরে এক জিহাগ হয়েছিল। আরনূপুর শর্মার মন্তব্যের পরে রাজ্যে জিহাদ দেখেছে রাজ্য। তিনি পুলিশকে রাজনীতি মুক্ত করার ডাকও দিয়েছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!