এসএসকেএমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ডন’!
নিউজ ডেস্ক::শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালত প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দুদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল।
তারপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফের শারীরিক অবস্থায় কথা জানিয়ে এসএসকেএমে ভর্তির আবেদন জানান। রাজ্যের মন্ত্রীর সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইডি পাল্টা হাইকোর্টে আবেদন করল রবিবার।
দুদিনের ইডি হেফাজতের মধ্যে রবিবারই এসএসকেএম ভর্তি হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডির অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় অসুস্থতার নাটক করছেন। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষও পার্থবাবুকে জেরা করার ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না বলে ইডি আধিকারিকদের অভিযোগ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইডির আইনজীবীরা।
ইডির আইনজীবীরা হাইকোর্টে তাঁদের সওয়াল জবাবে বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে ডনের মতো আচরণ করছেন। তদন্তকারী সংস্থা ইডির আইনজীবীরা সওয়াল করেন, তিনি এসএসকেএমে গিয়েছেন অসুস্থতার নাটক করে। বেছে বেছে তিনি এসএসকেএমের নাম নিয়েছেন, যাতে তিনি ইডির জেরার হাত থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর একক বেঞ্চে আবেদন করে ইডির পক্ষে সলিসিটর জেনারেল বলেন, নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে ইডিকে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জায়গা করে দেওয়া হোক। নিম্ন আদালতে শুনানি না করেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ইডির আইনজীবী। তাঁদের বলা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করান, তাই এ ব্যাপারে শুনানির কোনও দরকার নেই।
হাইোকর্টের ইডির দাবি, অনুগ্রহ করে তাঁদের তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে দেওয়া হোক। গ্রেফতার করার পর হেফাজতে নিয়ে যদি জিজ্ঞাসাবাদই না করতে পারেন তদন্তকারীরা তাহলে হেফাজতের কী মূল্য রইল! আমরা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ১৪ দিনের হেফাজত চেয়েছিলাম। দেওয়া হল দুদিন। তাও দুদিন অসুস্থতার দোহাই দিয়ে এসএসকেএমে কেটে গেল। আমরা তাহলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবো কী করে, প্রশ্ন তোলেন ইডির পক্ষের আইনজীবীরা।
এদিকে আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নগর দায়রা আদালতে ইডির স্পেশ্যাল কোর্টে তোলার কথা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও ওই একই দিনে তোলা হবে ইডির কোর্টে। সোমবার উভয়ের মামলার শুনানির পর কোনদিকে মোড় নেয় পরিস্থিতি, তা-ই দেখার। ইডি ফের তাঁদের হেফাজতে নিতে পারে নাকি তাঁরা জামিন পান, তা জানা যাবে সোমবার ইডির স্পেশ্যাল আদালতের রায়ে।