ICMR-এর গবেষণায় সাফল্য!
নিউজ ডেস্ক::দক্ষিণের রাজ্য কেরলে কমপক্ষে তিনজন মাঙ্কিপক্সে ( monkeypox) আক্রান্ত।
দিল্লিতে আক্রান্ত আরও এক। বেশ কয়েকটি জায়গায় সন্দেহজনক রোগীর সন্ধানও মিলেছে। সেই পরিস্থিতিতে মোদী সরকার মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে আমন্ত্রণ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যেই আইসিএমআর (icmr)-এর অধীনস্ত পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি রোগীর নমুনা থেকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসকে আলাদা করতে পেরেছে। যে কারণে দেশের ভ্যাকসিন এবং রোগ নির্ণয়ের কিট তৈরির পথ প্রশস্ত হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে অভিজ্ঞ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক এবং ইন-ভিট্রো রোগ নির্ণয়ের কিট যেসব সংস্থা তৈরি করে, তাদের থেকে দরপত্র আহ্বান করেছে। সেইসব সংস্থার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে ভ্যাকসিন তৈরির পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ের কিট তৈরি করতে চায় সরকার। এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্টজমা দেওয়ার শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে ১০ অগাস্ট।
আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, তাদের অধীনস্ত সংস্থা পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি রোগী ক্লিনিক্যাল নমুনা থেকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসকে আলাদা করেছে। যা ভ্যাকসিন তৈরি ও রোগনির্ণয়কারী কিট তৈরিতে সাহায্য করবে। এদিন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ, আইসিএমআর-এর তরফে বলা হয়েছে তারা অভিজ্ঞ ওযুধ প্রস্তুত কারক সংস্থা, ওষুধ কোম্পানি, ভ্যাকসিন প্রস্তুত কারক সংস্থা এবং আইভিডি সংস্থার সঙ্গে আইনসঙ্গত চুক্তির অধিকার রয়েছে।
আইসিএমআর-এর তরফে আরও বলা হয়েছে অতীতে স্মল পক্সের জন্য লাইভ অ্যাটেনুয়েটেড ভ্যাকসিন সফল হয়েছিল। একই পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যেতে পারে।
আইসিএমআর-এর তরফে বলা হয়েছে ২০১৯ ও ২০২২ সালে একটি ভ্যাকসিন (MVA-BN) এবং চিকিৎসা পদ্ধতিকে (tecovirimat) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এই দুটি বাজারে পর্যাপ্ত পাওয়া যায় না।
আইসিএমআর জানিয়েছে, ২০১৯-এ মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের জন্য একটি পরিবর্তিত অ্যাটেনুয়েটেড ভ্যাক্সিনিয়ে ভাইরাসের (আঙ্কারা স্ট্রেন) ওপর ভিত্তি করে নতুন ওই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এটি দুটি ডোজের ভ্যাকসিন। তবে খুব বেশি কোথাও পাওয়া যায় না। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের তরফে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য টিকা এবং সেটি কতটা উপযুক্ত তা নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চলছে।
ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, কেউ যদি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসেন, স্বাস্থ্যকর্মী-ল্যাবকর্মী এবং একাধিক যৌনসঙ্গী যাঁদের রয়েছে তাঁদের ঝুঁকি বেশি। এইসব ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস হল একটি এনভেলপড ডাবল-স্ট্র্যান্ডেড ডিএনএ ভাইরাস। যার জুটি স্বতন্ত্র ক্লেড রয়েছে। একটি হল মধ্য আফ্রিকান কঙ্গো বেসিন ক্লেড আর অপরটি হল পশ্চিম আফ্রিকান ক্লেড। তুলনামূলকভাবে পশ্চিম আফ্রিকার স্ট্রেন কম গুরুতর। আবার ভারতে পাওয়া স্ট্রেন পশ্চিম আফ্রিকার থেকেও কম গুরুতর বলেই জানিয়েছেন আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীরা।