পার্থ কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি অধীর চৌধুরীর
নিউজ ডেস্ক::প্রদেশ কংগ্রেস সভপতি অধীর চৌধুরীই প্রথম চিঠি দিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবি জািনয়েছিলেন।
শেষ পর্যন্ত সেই পথেই হাঁটতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পরেই আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেছেন, দুর্নীতির মূলে রয়েছেন টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তঁার নির্দেশেই হয়েছে সব বেআইনি নিয়োগ। যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্রা।
অধীর চৌধুরীই প্রথম থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবি করেছিলেন। তার পরে দলের অন্দরেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবি উঠতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তিনটি দফতরের দায়িত্ব থেকেই অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেেছন, তিনটি দফতরের দায়িত্ব তিনি নিজের হাতেই রেখেছেন। যতদিন না নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করছেন ততদিন পার্থর দফতরগুলি নিজের কাছেই রাখছেন বলেেছন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সব পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বিকেেল টিএমসি দলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সব পদ থেকে অপসারণের কথা ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথাও ঘোষণা করেন। তারপরে আবার তিনি জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও দোষ এখনও প্রমাণিত হয়নি পুরোটাই তদন্ত সাপেক্ষ। উল্টে এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় অর্পিতা এবং নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অভিষেক।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকা কিছুই নয় হিমশৈলের চূড়া মাত্র এমনই দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের পুরো ঘটনাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানা। তাঁর িনর্দেশেই সবটা হয়েছে। অধীরের দাবি, ‘শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সূচনা হয়েছিল সিঙ্গুর দিবস পালনের মঞ্চে। সেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করতে বলেছিলেন কত শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে? সেই মঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন ৬৮ হাজার চাকরি হয়েছে।’ সেদিন থেকেই শিক্ষক িনয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।