‘টাকা আমার নয়, সময় এলেই বোঝা যাবে’
নিউজ ডেস্ক::আমার কোনও টাকা নেই।
সময় সব বলবে। ফের ইএসই হাসপাতালে ঢোকার পথে বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন শরীর ভাল নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে ফের বিস্ফোরক পর্থ চট্টোপাধ্যায়। জোকা ইএসআই হাসপাতােল স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে তাঁর।
আদালতের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। সেই নির্দেশ মেনেই প্রতি ২ দিন অন্তর জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের। রবিবারও তাঁদের জোকা ইএসআই হাসপাতালে িনয়ে যাওয়া হয়। সেখােন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে ফের বিস্ফোরক দাবি করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘টাকা আমার নয়’। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেেছন, ‘সময় এলেই সব বোঝা যাবে’।
গতবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার পথে প্রথম মুখ খুলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে কে বা কারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। তবে সেদিন তাঁকে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। এদিন আবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কেমন আছেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুকে হাত দিয়ে বুঝিয়ে দেন ভাল নেই। শরীর ভাল নেই তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ইএসআই হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়েন নিরাপত্তা রক্ষীরা। সাংবাদিকদের আর প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি তাঁরা।
এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোনোর সময় অর্পিতার চোখে জল দেখা গিয়েছিলে। ছলছলে চোখ নিয়েই তিনি গাড়িতে ওঠেন। অর্পিতাকে নিয়ে এবার একটু বেশিই সতর্ক ছিল ইডি। গতবারের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছিল। জোরা ইএসআই হাসপাতালে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। অর্পিতার গাড়ি ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার পরেই নিরাপত্তা রক্ষীরা গাড়িটি ঢেকে ফেলেন। এবার গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই ভেতরে ঢোকেন অর্পিতা। তবে তাঁর জন্য তৈরি রাখা হয়েছিল হুইল চেয়ার। গতবার গাড়ি থেকে নামার পর পড়ে গিয়েছিলেন অর্পিতা। কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন হেঁটেই ইএসআই হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গতবার তিনি দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তারপরে তিনি মন্তব্য করছিলেন তাঁকে বহিষ্কার করে ঠিক করেছেন। তার পরের দিনই তিনি আবার দাবি করেছেন টাকা তাঁর নয়। তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার এই বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই ৫০ কোটি টাকা কার। বিরোধীরা কিন্তু বারবারই দাবি করেছেন এই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের শুধু হতে পারে না। এর নেপথ্যে রয়েছেন আরও বড় কোনও মাথা।