দুর্গোৎসবের দু’মাস আগেই অকাল সিঁদুর খেলায় মাতল কল্লোলিনী
নিউজ ডেস্ক ::যে কোনও শুভ কাজ শুরু হয় সিঁদুর দিয়ে।
আর দুর্গা পুজো এখন বিশ্বজনীন। মিলেছে ইউনেসকোর বিশেষ স্বীকৃতি। এই দুই ঘটনা এসে মিলল শহরের বুকে। কলকাতায় হল অকাল সিঁদুর খেলা।
দুর্গা মা আসতে এখন অনেক দেরী। তার যাবার কথা এখন ভাবাই দূর অস্ত। অথচ শহরের মানুষ মেতেছে সিঁদুরখেলায়। ঘটনা কী? জানা গেল চালতাবাগান দুর্গোৎসব কমিটি এমন অকাল সিঁদুর খেলার আয়োজন করেছে। মাঝে রয়েছেন এক বিদেশিনী । তিনিও সিঁদুরে রাঙা হয়ে গিয়েছেন। সুদুর বেলজিয়ামের বাসিন্দা কোলাসা। তিনি বহুদিন এই শহরের বাসিন্দা। হয়ে গিয়েছেন এই শহরের। চকোলেটের দেশ ভুলে তিনি এখন এখন কল্লোলিনির। দুর্গা মা আসার আগমনী বার্তা পৌঁছাতে এখন অনেক দেরী। কল্লোলিনি এত সময় বুঝে চলতে পারে না। সে নিজের মতো চলে। মাঝে মাঝে আপন ভোলা।
দুর্গোৎসব কমিটি বলেছে , এ আসলে যাপনের উজ্জাপন। এই যে মিলেছে ইউনেসকোর বিশেষ স্বীকৃতি, তো তার উজ্জাপন করতে বিদেশিনিকে সামনে রেখে উৎসবে মাতলেন তাঁরা, সঙ্গে পড়ে গেল পুজোর ঢাকে কাঠি।
ক্লাবের সম্পাদক মৌসম মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বিদেশ থেকে এসেছে তার বার্তা। তাই বিদেশিনিকে সামনে রেখে তা আমরা উজ্জাপন করছি। এটা আমাদের পুজোর আগমনী বার্তা। তাছাড়া শুধু বিসর্জনের পরেই যে সিঁদুর খেলা হবে তার কোনও মানে নেই। যে কোনও কাজের শুরু হয় সিঁদুর দিয়ে। সেই দুই বিষয়কেই এক মঞ্চে এনেছি আর এভাবেই আমাদের পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল। তাছাড়া গত দুই বছর পুজো হলেও তা মানুষের সামনে ঠিকভাবে তুলে ধরতে পারা যায়নি। এই বছর সমস্যা কিছুটা কম। তাই এবারে আমরা আনন্দে মাততে চাই। তাই এটা হতে চলেছে সেলিব্রেশন অফ সেলিব্রেশনস। তারও একটা বারতাব আমরা দিলাম এই সিঁদুর খেলার মাধ্যমে। মাঝে বিদেশ , চারদিকে আপন দেশ। আর এভাবেই যে আমাদের উৎসব হয়ে উঠেছে বিশ্বজনীন। আর সেই উৎসব শুরু হয়ে গেল এখন থেকেই।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন , “মানুষ যখন আমাদের কাজ দেখে বলে যে এটা ভালো সেটা ভালো তখন একটা আলাদা ভালোলাগা থাকে। সেই ভালোলাগা কোথাও হারিয়ে গিয়েছিল। এই বছর ফিরে আসুক সে ভালোলাগা, সেই আনন্দ, সেই সেলিব্রেশন”।