খোঁজ মিলল নয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের
নিউজ ডেস্ক ::আদালতে বিস্ফোরক তথ্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
বুধবার আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। একেবারে কড়া নিরাপত্তায় হেভিওয়েট দুই অভিযুক্তকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। আর সেখানেই শুনানিতে কার্যত চাঞ্চল্যকর দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর।
এদিন শুনানিতে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল। তাঁর দাবি, পার্থ এবং অর্পিতার নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু মাত্র উদ্ধার হয়েছে। আর তা বলতে গিয়ই নতুন আরও একটি সংস্থার খোঁজ ইডির তরফে আইনজীবী দেন বলে আদালত সূত্রে খবর।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী দাবি করে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতার নামে অপা ইনফিনিটি সার্ভিস নামে আরও একটি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। আর এই সংস্থায় পার্থ এবং অর্পিতার নামে ৫০ শতাংশ করে শেয়ার আছে বলেও এদিন আদালতে জানান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
শুধু তাই নয়, এই সংস্থার নামে এখনও পর্যন্ত চারটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে বলেও এদিন আদালতে জানানো হয়। তবে আরও সম্পত্তি থাকতে পারে বলেও কার্যত ইঙ্গিত দেন ইডির আইনজীবী। ফলে সেই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি হদিশ পাওয়া দরকার। আর সেজন্যে ফের একবার পার্থ এবং বান্ধবী অর্পিতার ইডির হেফাজত চাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে এদিন ইডির তরফে অভিযোগ জানানো হয় যে, তদন্তে অর্পিতা সহযোগিতা করলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় করছেন না। একাধিক প্রশ্নের উত্তর প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিব এড়িয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ ইডির। সূত্রের খবর, এদিন কিছুক্ষনের জন্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অপ্রিতাকে এজলাসে নিয়ে আসা হয়।
যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আদালতের তরফে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুনানি এখনও চলছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ইডির তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অন্তত চার দিন এবং অপ্রিতাকে তিনদিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন সকাল থেকে শান্তিনিকেতনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতার বাগানবাড়ি অপাতে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। বাড়ির বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চলছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি মটির নীচেও লুকানো থাকতে পারে সম্পত্তি। আর তা অনুমান করে মাটি খুড়েও দেখা হিওয় বলে জানা যাচ্ছে। তবে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলেই খবর। অন্যদিকে শান্তিনিকেতনে আরও দুটি বাড়িতে ইডির তদন্তকারীরা পৌঁছে গিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। তিতলি এবং লাবণ্য দুটি বাড়ির খোঁজ মিলেছে। সেগুলি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেনামে কিনেছিলেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।