প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক
নিউজ ডেস্ক ::প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সপ্তম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক শুরু হয়েছে।
এই বৈঠকে মূলত কৃষিশষ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে। এই বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলোর লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শুক্রবার নীতি আয়োগের তরফে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে জানানো হয়েছে, স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ দেশ গঠন করার জন্য নীতি আয়োগের সপ্তম কাউন্সিলয়ের বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলোর লেফটেন্যান্ট গভর্নরের উপস্থিতি একান্ত কাম্য। এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় ভারতের গুরুত্ব ও জি-২০ প্ল্যাটফর্মে ভারতের রাজ্যগুলো কী ভূমিকা পালন করতে পারে, সেই বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। এছাড়ার দেশের একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এই বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে ২০২২ সালের জুন মাসে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে ধর্মশালায় একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলোর উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। কী বিষয়ে নীতি আয়োগের সপ্তম কাউন্সিলের বৈঠক হবে, তার একটি পরিকল্পনা করা হয়।
এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না বলেই আগেই জানিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি উপ মুখ্যমন্ত্রীকে এই বৈঠকে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু এই বৈঠকে শুধু মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। নীতীশ কুমারের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। তিনি রাজ্যগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক আচরনের অভিযোগ করেন। তিনি জানান, একটি দেশ তখনই শক্তিশালী জাতি হিসেবে নিজেকে বিকাশ করতে পারবে, যখন প্রতিটি রাজ্য শক্তিশালী হবে। রাজ্যগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান বলেন, তিনি ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের আইন তৈরির দাবি জানাবেন নীতি আয়োগের বৈঠকে। ইতিমধ্যে ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের আইনি দাবি জানিয়ে কৃষকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। পঞ্জাব ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থিত ছিল। সেই সময় দেশের চারটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ২০২০ সালে এই বৈঠক করোনা মহামারীর জন্য বাতিল হয়ে যায়। ২০১৫ সাল থেকে নীতি আয়োগের কাউন্সিল বৈঠক শুরু হয়।