বাংলার নেতাদের ফের তলব দিল্লি বিজেপির

0 0
Read Time:4 Minute, 37 Second

নিউজ ডেস্ক ::বাংলার বিজেপি নেতাদের ধারাবাহিকভাবে ডাকা হচ্ছে দিল্লিতে।

শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের পর অন্যান্য নেতাদেরও ফের তলব করা হয়েছে। সোমবারই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গিয়েছিলেন দিল্লি, তারপর তলব করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এবার দিল্লি তলব বাকি শীর্ষ নেতাদেরও। তাতেই চড়েছে জল্পনা। 

২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বাংলায় রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শীর্ষস্তরে রদবদলের বার্তা দিতেই কি এই ডাক? নাকি পঞ্চায়েত নির্হাচনের আগে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে বা বিশেষ কোনও কর্মসূচি নিতে এই ডাক তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আবার এমন চর্চাও শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে যে, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিপাকে ফেলতে কোন পথে ঝাঁপাবে বিজেপি, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করতেই এই তলব করা হয়েছে।

সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চারদিনের মধ্যে তিনি তিনদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারও হয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বাংলার বিজেপি নেতৃত্বকে কোনও মেসেজ দেওয়া হবে কি না, তার জন্যই পুরো বঙ্গ বিজেপিকে দিল্লিতে তলব করা হল কি না, তাও চর্চায় উঠে এসেছে।

সর্বোপরি রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দিল্লিতে বাংলার বিজেপি নেতাদের তলব করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। সেজন্যই বৈঠক। তেইশে পঞ্চায়েত ভোট। আবার সেই বোট এগিয়েও আসতে পারে। সেক্ষেত্রে বিজেপির তৈরি হওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে বিজেপি সাংগঠনিকভাবে ভালো জায়গায় নেই। হাতে সময়ও অল্প। তাই বিজেপিকে ভোটের জন্য তৈরি হওয়ার বার্তা দেওয়া হতে পারে এই বৈঠকে।

বাংলায় ৯০ শতাংশ পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। একুশের নির্বাচনে রাজ্যে বিপুলভাবে জয়ী হয়েছে। সম্প্রতি পুরসভা নির্বাচনেও তৃণমূল সাফল্য পেয়েছে। এখন পড়ে রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। এই ভোটে উল্লেখযোগ্য ফলাফল করে ২০২৪-এর জন্য বিজেপি প্রস্তুত হতে চাইছে। 

একইসঙ্গে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের কাছে বিশেষ খুশি নয় তৃণমূল। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কড়া বার্তা দিতে পারে। গোষ্ঠীকোন্দল সরিয়ে পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের আগে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিতে পারে বিজেপি। তেমনই কোনও রণকশল স্থির করে দেওয়া হতে পারে দিল্লিতে এই বৈঠক থেকে। 

আবার লক্ষ্য স্থির করতে কিছু সাংগঠনিক পরিবর্তনের দিকেও হাঁটতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যাঁদের কাছে মোটেও খুশি নয়, তাঁদের জায়গায় অন্য নেতাদের আনতে পারে বিজেপি। আর সর্বোপরি বিজেপির একজন পর্যবেক্ষকর নিয়োগ জরুরি। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র পরে বাংলায় কোনও পর্যবেক্ষক নেই। সেই মর্মে এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপিতে বাড়ানো হতে পারে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা। কেননা আদি বিজেপিকে চাঙ্গা করতে চায় তারা। মোট কথা, বাংলায় অক্সিজেন ফিরে পেতে তারা বদ্ধপরিকর।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!