বিশ্বে শান্তি ফেরাতে পারে নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগ
নিউজ ডেস্ক::বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর একটি বিশ্ব শান্তি কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
সেই কমিশনে তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পোপ ফ্রান্সিস ও রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছেন। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে একটি লিখিত প্রস্তাব মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর বলেন, ‘বিশ্বের যা পরিস্থিতি, তাতে শান্তি কমিশন গঠনের খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের কাছে আমি লিখিতভাবে প্রস্তাব পাঠাবো। এই শান্তি কমিশন গঠনের বিষয়ে আমি অনেকদিন ধরে চিন্তা করছি। আমি আশা করছি, সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা আমার এই প্রস্তাব ছড়িয়ে দিতে সমর্থ হবেন।’ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর শান্তি কমিশনে পোপ ফ্রান্সিস ও রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সদস্য করার কথা পরিকল্পনা করছেন। বিশ্বে যে হারে অস্থিরতা বেড়ে গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে তিনি মনে করছেন একটি শান্তি কমিশন গঠন অত্যন্ত প্রয়োজন। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে পড়তে শুরু করেছে। তারমধ্যে মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর চিন ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর বলেন, শান্তি কমিশনের প্রধান লক্ষ্য হবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। অস্থিরতা মীমাংসা করে কম করে পাঁচ বছরের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি মনে করছেন, চিন, রাশিয়া ও আমেরিকা তাঁর প্রস্তাব মেনে নেবে এবং শান্তি কমিশন গঠনে সাহায্য করবে। বর্তমানে শক্তিধর দেশগুলোর আগ্রাসানের জন্য বিশ্বের মানুষ বিপাকে পড়ছেন। এই সময় শান্তি প্রস্তাবের অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
বিশ্ব জুড়ে যেন একটা যুদ্ধের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। রাশিয়ার ইউক্রেনের ওপর বিশেষ সামরিক অভিযানে দ্বিধা ভক্ত বিশ্ব। রাশিয়াকে চিন, পাকিস্তান সহ এশিয়ার একাধিক দেশ সমর্থন করলেও, ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমি দেশগুলো। ইউক্রেনকে সামরিকভাবে সাহায্যের পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর পশ্চিমি দেশগুলো একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অন্যদিকে, ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চিন। তাইওয়ান প্রণালী অবরুদ্ধ করে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। অন্যদিকে, তাইওয়ানের উপত্যকায় যুদ্ধ জাহাজ নোঙর করেছে আমেরিকা।
বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ইউক্রেনের কৃষিপণ্যের ওপর বিশ্বের একাধিক দেশ। যুদ্ধের জেরে কৃষিপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। রাষ্ট্রসংঘ বিশ্বজুড়ে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে সতর্ক করেন। পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। আর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বিশ্ব জুড়ে কর্মসংস্থানের আকাল দেখা দেবে।