এবার মুখ খুললেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক::গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর চারদিন পরে রবিবার প্রথম মুখ খুললেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
“অনুব্রতকে গ্রেফতার কেন ? কী করেছিল? কেষ্টকে জেলে আটকালে কী হবে ? ওদের এজেন্সির কিছু লোক রয়েছে, তাঁদের টাকা দিয়ে পোষে। মাঝরাতে কেন সিবিআই বাড়িতে ঢুকছে? কেষ্টর বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে সিবিআই।” অবশেষে মুখ খুললেন মমতা৷ গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর চারদিন পরে রবিবার প্রথম মুখ খুললেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “আর কতজনকে গ্রেফতার করবে? আমি জেল ভরো আন্দোলেনের ডাক দেব৷ একটা কেষ্টকে ধরলে লক্ষ কেষ্ট আছে, কেষ্টরা ভয় পাবে না”- মঞ্চ থেকে সরব মমতা৷
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে৷ একজন এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় ইডি’র হাতে ধৃত। আরেকজন গরু পাচারের মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার। এর চারদিন পরে, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা বেহালা পশ্চিমে যান মমতা। “বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস ভাই ভাই, বাংলায় এদের ঠাঁই নাই”, ১৪ তারিখ রাতে মমতার নতুন স্লোগান এটাই৷
‘”ঝাড়খণ্ড বাঁচিয়ে দিলাম বলে বিহার বেঁচে গেল৷ ঝাড়খণ্ড সরকার ভাঙতে দিনি৷ সারা দেশে কী চলছে ?’’ কেন্দ্রের দিকে প্রশ্ন ছুড়লেন মমতা৷ ব্যাঙ্কগুলো লুট হয়ে গেল৷ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা আছে? যত জোরে ভেঁপু বাজাচ্ছেন তত জোরে খাদ্য দিতে পারেন? রাজনৈতিক স্বাধীনতা যদি না থাকে , বিরোধী দলের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয় ,তাহলে কি বলা যায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা আছে? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার চুরি হয়ে গিয়েছে, সিবিআই কি করছে?’’ একের পর এক প্রশ্নবাণ মমতার৷