সরে দাঁড়ালেন কংগ্রেস নেতা
নিউজ ডেস্ক::কংগ্রেস হাইকমান্ডের প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিলেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ। তাঁকে জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করেছিল দল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শীর্ষপদ থেকে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেস নেতা। একইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্যও আর রইলেন না তিনি। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যগত কারণে গুলাম নবি আজাদ নতুন দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। তবে রাজনৈতিক মতে জম্মু-কাশ্মীরের ক্যাম্পেন কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়া কার্যত গুলাম নবি আজাদের রাজনৈতিক পদের অবনমন।
মঙ্গলবার কংগ্রেসের প্রচার কমিটি নতুন করে তৈরি হয়। প্রচার কমিটি ১১ জন নেতা এবং পিসিসি সভাপতি এবং কার্যনির্বাহী সভাপতি স্থায়ী আমন্ত্রিতদের নিয়ে গঠিত। তারিক হামিদ কারাকে প্রচার কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং জি এম সারোরি আহ্বায়ক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। কাশ্মীরে কংগ্রেস ইউনিটকে ঢেলে সাজিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তাঁর নির্দেশেই গঠিত হয়েছে একটি ক্যাম্পেন কমিটি, একটি পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটি, কোঅর্ডিনেশন কমিটি, ম্যানিফেস্টো কমিটি, পাবলিসিটি এবং পাবলিকেশন কমিটি, ডিসিপ্লিনারি কমিটি এবং একটি প্রদেশ নির্বাচন কমিটি।
গুলাম নবি আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, নেতৃত্বে বদল চেয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখার পর থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে আজাদের। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের অন্দরে বেশ চর্চায় G-23 নেতারা। ২০২০ তে ২৩ জন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতা সোনিয়া গান্ধীকে দলীয় নেতৃত্ব পরিবর্তনের কথা জানিয়ে একটি বিস্ফোরক চিঠি লিখেছিলেন। সেই তালিকার অন্যতম বড় নাম ছিল গুলাম নবি আজাদ।
বিক্ষুব্ধ নেতাদের ক্ষোভ ধামাচাপা দিতে গত মে মাসে উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের পরে গুলাম নবি, আনন্দ শর্মাকে সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য করা হয়। তারপরেও অবশ্য রাজ্যসভায় না ফেরানো নিয়ে গুলাম নবিরা ক্ষুব্ধ বলে শোনা গিয়েছিল।