খোঁজ নেই প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো মানিক ভট্টাচার্যের!
নিউজ ডেস্ক::ইডি সূত্রের খবর এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করা হলেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে তাঁকে তলব করা হলেও তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে হাজিরা দেননি। নদিয়ার তৃণমূলের এই বিধায়ককে গত শুক্রবার হাইকোর্টে দেখা গিয়েছিল বলেও খবর সূত্রের। তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ নেই।
কলকাতায় মানিক ভট্টাচার্যের একাধিক বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট ছাড়াও নদিয়ায় পৈতৃক বাড়ি রয়েছে তাঁর। তবে ইডির আধিকারিকরা জেলার সেই বাড়িতে না গেলেও, কল্যাণীর বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। তারপর সেখান থেকে ইডির আধিকারিকরা হাইকোর্টে যান। তাঁরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁরা জানতে চান, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা যায় কিনা?
উল্লেখ করা যেতে পারে গত ২২-এ জুলাই মানিক ভট্টাচার্যের যাদবপুরের বাড়িতে প্রায় ১৭ ঘন্টা ধরে তল্লাসি চালায়। সেই তল্লাশিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তল্লাশির পাঁচদিনের মাথায় মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। তবে এর পরে দুবার মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করা হলে, তিনি সেখানে যাননি কিংবা কোনও উত্তরও দেননি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছিল ইডি।
প্রাথমিকের নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে মামলায় শুনানি চলছে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নিজের, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের বিয়ের আগে পর্যন্ত সম্পত্তির তথ্য আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মানিক ভট্টাচার্য সেই সময় জানিয়েছিলেন, কলকাতায় বাড়ি-ফ্ল্যাট ছাড়াই নদিয়া পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। বিচারপতি তখন বলেছিলেন, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন কোনও সম্পত্তি পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও আবেদন করেন মানিক ভট্টাচার্য।