ফের দুর্নীতির অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক::মামলাকারিদের দাবি, কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশন ছাড়া নিয়োগ করা আইনবিরুদ্ধ। মোট ২০৩৫ জন আবেদন করেছিলেন এবং ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে ফি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ফি জমা দেওয়ার এই তালিকায় ১০০টির বেশি নাম ফাঁকা রয়েছে বলে অভিযোগ। আবেদন না করেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০২১ সালে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই অতিরিক্ত হলফনামা দাখিল করে নতুন এই অভিযোগ জানানো হয়েছে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দমকলের পর আবারও ‘নিয়োগ দুর্নীতি’-এর অভিযোগ। এ বার সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগ দুর্নীতি-এর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠল, তমলুক, ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগে দুর্নীতি করা হয়েছে। এই সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠরা। আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মামলাকারীরা। আর তাই নিয়েই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।
অভিযোগে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, অরূপ রায়ের ঘনিষ্ঠ সত্য সামন্তের বোন চাকরি পেয়েছেন বেআইনি ভাবে। তালিকায় রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি প্রয়াত দেবব্রত দাসের ভাইপোর নামও। এমনকী ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান গোপালচন্দ্র মাইতির ভাইপোকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। তালিকা এখানেই শেষ নয়, ব্যাঙ্কের ভারপ্রাপ্ত সিইও (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত প্রণয়কুমার চক্রবর্তীর ভাইপো, সচিব কৌশিক কুলভির ভাইপো, ব্যাঙ্কের অধিকর্তা নিমাই অধিকারীর মেয়ে ও তপনকুমার কুলিয়ার ছেলেও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত ১৩৪ জন নিযুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। মামলায় জড়িয়েছে মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম। বলা হয়েছে, কো-অপরেটিভ সার্ভিস কমিশন ছাড়া নিয়োগ করতে পারবে ব্যাঙ্ক, এই মর্মে দু’বার অনুমোদন দিয়েছিলেন অরূপ রায়।